রংপুর জেলা প্রতিনিধি।।
রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড জুড়ে দেখা যায় সরিষা চাষের আবাদ। নীল আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুল। সকালের সূর্যের কিরণ প্রতিফলিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই সরিষা ফুলের সমারোহে হেসে ওঠে চারদিক।
মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ মাছিরা। পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি রোদে সরিষা ফুলগুলো বাতাসে দোল খেতে থাকে ফুলগুলোর তাদের কলি ভেদ করে সুভাস ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে। এ যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলা ভূমি।
সরেজমিন সরিষা জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সরিষা মাঠ জুড়ে ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিনোদন প্রেমিরা। সরিষা মাঠ ঘুরে ঘুরে দেখছেন। কেউবা আবার মোবাইলফোনে সেলফি তুলছেন।
একাধিক কৃষকের সঙ্গে বলে জানা যায়, এক সময় রংপুর জেলায় ব্যাপক পরিমাণে সরিষার আবাদ হতো। সয়াবিনের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় বর্তমানে অনেকটাই কমে গেছে সরিষার আবাদ। তবুও ধান চাষের পাশাপাশি ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সরিষার চাষ হয়ে থাকে।
কৃষক মকবুল মিয়া দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকাকে বলেন, আমার ১ একর সরিষা চাষ করতে এক বিঘা জমিতে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
সরিষা চাষে যে সার আমরা ব্যবহার করি, পরবর্তীকালে ইরি ধান রোপনের সময় সার বেশি দেওয়া লাগে না। এতে আমাদের খরচ কিছুটা কমে যায়। এবার মেঘ-বৃষ্টি না হলে আমরা লাভবান হবো। তবে কৃষি অফিস থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। নিজের টাকা দিয়ে সার কিনেছি। পোকার আক্রমণ হলে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি। ফুল আসা শুরু হয়েছে মাত্র। কার্তিক মাসে বীজ বুনেছি, পৌষ-মাঘ মাসের দিকে সরিষা তুলবো।
You cannot copy content of this page