• মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আবারও স্বর্ণের দাম কমলো বিশ্ববাজারে,, আনসারের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনার অনুমোদন: অর্থ উপদেষ্টা,,, রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ২০টি হত্যা: ডিএমপি,,, দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচারে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার,,, মান্দা ফেরিঘাটে ধানের শীষের গণমিছিল–ডা. ইকরামুল বারী টিপুর প্রতি আস্থা জানাল স্থানীয় জনতা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: ভারতের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ,,, মানবতাবিরোধী অপরাধে রায়: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড,,,, নৈরাজ্যের আশঙ্কায় গণতন্ত্র রক্ষায় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের,,, আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি,, বিশ্বের একমাত্র স্বৈরশাসক নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা – মেজর হাফিজ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা: চলছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সহ নেতাদের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য/দৈনিক ক্রাইম বাংলা। 

এম জাফরান হারুন / ২৬৯ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩

সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সাগরে মাছের উৎপাদন ও প্রজনন বাড়াতে গত (২০ মে) মধ্যরাত থেকে শুরু করে (২৩ জুলাই) রাত ১২ টা পর্যন্ত ৬৫ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়। সহায়য়তা পাওয়ার পরেও স্বাভাবিক দিনের মতো সাগরে মাছ শিকার করছেন জেলেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট–বড় ট্রলারে অবাধে মাছ শিকার করছে জেলেরা। প্রশাসন উপস্থিত থাকা অবস্থায় তাদের সামনে সাগর থেকে নৌকা তোলা ও মাছ অটো গাড়ির মাধ্যমে নিয়ে যেতে দেখা যায়। আর প্রতিদিন ঢাকা–কুয়াকাটা প্রতিটি পরিবহনে বোঝাই করে মাছ নেয়া হচ্ছে। ছোটো বড়ো ট্রাকেও যাচ্ছে মাছ।

ক্ষুদ্র জেলেদের সংগঠন কুয়াকাটা আশার আলো মৎস্য জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তিনি জানান গদির মালিক নুর জামাল সব জানে। আর এই নুর জামাল বাহিনীর নেতৃত্বে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় ১ হাজার খুটা জালের ট্রলারে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাছ শিকার করা হচ্ছে। তাদেরকে লেম্বুর বন থেকে গঙ্গামতী ধোলাইপার পর্যন্ত মাছ শিকার করতে ট্রলার প্রতি ৫০০০ টাকা করে উৎকোচ দেওয়া হয়। এতে করে কমপক্ষে ১ হাজার ট্রলার থেকে উত্তোলন করা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

অপরদিকে আলিপুরের লম্বা জালের ১ হাজার ট্রলার থেকে ১০ হাজার করে আলিপুর বন্দর মৎস্য সমবায় সমিতির নামে ১ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। কুয়াকাটা ও মহিপুরের ১০ থেকে ১২ টি বরফ কল এই নিষেধাজ্ঞায় সচল রয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বরফ কল চলমান রাখতে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা করে প্রায় ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আর এই পুরো টাকা মহিপুর নৌ–পুলিশ, মৎস্য কর্মকর্তা, কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও কিছু স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ভিতরে ভাগ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান বেশ কিছু জেলে।

এবিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক বরফ কল মালিক বলেন– কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসে নিষেধাজ্ঞার সময় বরফ কল চালু রাখার কথা বলে ২ লাখ টাকা নিয়েছে। এতে আমরাও খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি।

গঙ্গামতী নদীতে মাছ শিকারে থাকা একাধিক জেলেরা জানান, “আমরা নিষেধাজ্ঞায় মাছ শিকার করে অধিক টাকায় বিক্রি করতে পারছি। নিজাম শেখ ও নুর জামাল ভাই ৫০০০ টাকা করে নিছে তাতে আমাদের তো কোন ক্ষতি নাই, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মাছে লাভও বেশি হয় এবং প্রশাসনের দিক দিয়েও কোন হয়রানি করা হয় না”।

কুয়াকাটা আশার আলো মৎস্য জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখ বলেন– জেলেরা সমুদ্রের কিনারে মাছ ধরে। তবে টাকা–পয়সার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। বিষয়টি গদির মালিক নুর জামাল জানে।

এবিষয়ে গদির মালিক নুর জামাল বলেন– ভাই যা শুনেছেন সব মিথ্যা। আমি কোন টাকা নেইনি। আর প্রশাসনকে টাকা দেইনি। আমার কাজ আছে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

আলিপুর বন্দর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি ও আলিপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আনছার মোল্লা বলেন– এখানে নৌ–পুলিশ, কোষ্টগার্ডসহ সকল প্রশাসন কঠোর ভূমিকায় থাকায় জেলেরা নদীতে মাছ ধরে। তারা কেউ সমুদ্রে যায়না।

কুয়াকাটার পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন বলেন– নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন নিবন্ধিত জেলেদের সঠিকভাবে চাল বিতরণ করা হয়েছে। আমি ঢাকায় থাকায় বিষয়টি জানা নেই। আমি এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: কামরুল ইসলাম বলেন– নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে যায়। দিন রাত কাজ করতে হচ্ছে। লোকবল ও নৌযান সঙ্কট থাকায় অভিযান পরিচালনা করতে কষ্টসাধ্য হচ্ছে তারপরেও আমরা যথা সাধ্য কাজ করে যাচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ