পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নে ভোগদখলীয় রেকর্ডীয় জমিতে রাতের গভীরে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তা বন্ধ করে দিয়ে এসেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল কনকদিয়া ইউনিয়নের চুনারপোল নামক বাজারস্থাহ গিয়ে দেখা যায় পাকা রাস্তার পাশে মাটি বালু ভরাট না করে ঘাস পানির উপরে সদ্য কাঠ ও টিন দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে অভিযোগকারী মোঃ শাহআলম হাওলাদার বলেন, এই জমিটা আমার বাবা মৃত আলহাজ্ব হাকিম আলী হাওলাদার গংদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি। তাই আমার বাপ দাদা ভোগদখলে ছিল এবং আমরা সেই থেকে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ শনিবার দিবাগত রাতের গভীরে মামুন হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার ও আমিনুউদ্দীন হাওলাদার গংরা সংঘবদ্ধ হয়ে জোরপূর্বক জবরদখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করতে ছিল। খবর পেয়ে গিয়ে বাধাবিঘ্ন করলে আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি সহ প্রাননাশের ভয়ভীতি দেখায়। পরে থানা পুলিশ কে খবর দিলে আজ রোববার ভোর ৬টার দিকে থানা পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম এসে কাজ বন্ধ করেন। এবং উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে বিকেলে থানায় আসার জন্য বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা চলে যান। আমরাও আমাদের বাড়ি চলে তারা আবার পুনরায় ঘর তোলে। তাই আমরা আমাদের ভেগদখলীয় জমি দখল মুক্ত সহ তাদের বিচার দাবি করছি।
এপ্রসঙ্গে প্রতিপক্ষের আমিনুউদ্দীন হাওলাদার গং বলেন, আমরা আমাদের পৈত্রিক জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করেছি। যা স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার উপস্থিত থেকে মাপজোপ করে আমাদের দিয়েছেন তাতে আমরা দোকান ঘর নির্মাণ করেছি। পরে পুলিশ এসে বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা আইনকে সম্মান জানিয়ে বন্ধ রেখেছি। এখন কাগজপত্র দেখাদেখি করে জমি যে পাবে সেই ই ভোগদখল করবে। আমরা তা মেনে নেব।
এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বাংলাদেশের বাইরে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে স্থানীয়রা জানান, এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে একটা বিরোধ রয়েছে তা চেয়ারম্যান কি সমাধান করেছেন আমাদের জানা নেই।
ঘটনাস্থলে যাওয়া বাউফল থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর করা বন্ধ করে দিয়ে এসেছিলাম। এবং উভয় পক্ষকে তাদের কাগজপত্র নিয়ে বিকেলে থানায় আসতে বলেছিলাম। পরে তারা পুনরায় দোকান ঘর নির্মাণ করেছে কিনা আমার জানা নেই। তবে উভয় পক্ষই বিকেলে থানায় এসেছে তাই উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে শালিস মীমাংসার জন্য একটা দিন ধার্য করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।