
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
কক্সবাজারের উখিয়া, বালুখালী ও কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন মার্কিন প্রতিনিধিদল।
সোমবার ১৪ আগষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল এ আশ্রয়শিবির গুলো পরিদর্শন করেন। বেলা সোয়া ১১ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করে রোহিঙ্গা নারী পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা শিবিরের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন তারা। রোহিঙ্গারা মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ছয় বছর আগে তাদের উপর সংগঠিত নির্যাতন নিপীড়নের কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলকে তুলে ধরেন তারা।
এ সময় নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ন প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের কাছে সহযোগিতা চাইলেন এ রোহিঙ্গারা।
১১ বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন, মার্কিন কংগ্রেসের দুজন সদস্য। তারা হলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেস সদস্য এড কেইস ও রিপাবলিকান রিচার্ড ম্যাকরমিক।
শরনার্থী, ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরসি) কার্যালয় সূত্র জানায়, দুই কংগ্রেস সদস্যদের নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধিদলটি সকালে উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের আর্থিক অবস্থা,জীবনমানসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করে। বিকেলে আরআরসির কার্যালয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে আশ্রয়শিবিরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অর্থসহায়তা কমানোর ফলে রোহিঙ্গাদের অবস্থা ও প্রত্যাবাসন সম্পর্কে আলাপ করেন। অতিরিক্ত কমিশনার শামছুদ্দৌজা এ প্রতিবেদককে জানান, আমি মার্কিন প্রতিনিধিদলকে বলেছি আশ্রয় শিবিরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চেষ্টা সব সময় থাকে।রোহিঙ্গা নেতা জালাল আহাম্মদ জানান, মার্কিন প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা নেতাদের কাছে আশ্রয় শিবিরের নিরাপত্তা, জীবনযাপন, প্রত্যাবাসন, মায়ানমারের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। জবাবে এক রোহিঙ্গা বলেছেন আগে প্রতি পরিবারকে ১০ মার্কিন ডলার দেওয়া হতো। এখন প্রতি পরিবারকে ৮ ডলার করে দেওয়া হচ্ছে। তাতে কষ্ট ও দূর্ভোগ বেড়ে গেছে। আরেক রোহিঙ্গা বলেন,আশ্রয় শিবিরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। প্রায় সময় খুন খারাপি লেগেই থাকে।মাদক,অস্ত্র, মানবপাচার লেগেই আছে।পরে বিকেল ৩ টার দিকে কক্সবাজার শহরে চলে আসেন তারা। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে শহরের শরনার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে (আরআরসির) রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ৪৫ মিনিট আলোচনা করেন তারা।
আলোচনার পর উড়োজাহাজে করে ঢাকায় ফিরে যায় মার্কিন প্রতিনিধিদলটি।