• শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘খেপসা’ খাওয়ালেন বিএনপির নেতা ইন্জিনিয়ার ফারুক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে সেই আলোচিত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোবিন্দ ঘরামি গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল নোট চক্রের সদস্যরা, মিলছে না প্রতিকার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহান উদ্দিন পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের নির্দেশে উপহার বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া রাষ্ট্র কখনোই এগুতে পারবেনা …. তানিয়া রব/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দাউদকান্দিতে কাইয়ুম মেম্বারের বিরুদ্ধে ভাতা বাণিজ্যের অভিযোগ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জয় দিয়ে আফগানিস্তান সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগাররা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নতুন সিরিজে নিয়ে আসছেন টিম রবিনসন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

বাউফলের কালাইয়ায় ফের মা মেয়েকে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির অভিযোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

এম জাফরান হারুন।। / ১৪৮ পঠিত
আপডেট: বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩

এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের তিনদোকান নামকস্থানে রাতের গভীরে পাকা ও টিন শেডের দোতলা ঘরের গ্রিল ভেঙে একদল ডাকাত ঘরের ভিতর ঢুকে মা মেয়েকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (২৮শে আগষ্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই তিনদোকানের পশ্চিম পাশে কালভার্ট সংলগ্ন মৃত মোঃ সালাউদ্দিন আহমেদের আশিক মঞ্জিল নামক ঘরে। ওই সময় তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা মাহমুদা আসমা ও মেয়ে ঐশী আক্তার নামে দুইজন ওই সময় ওই ঘরে ছিলেন। এতে ভুক্তভোগী ওই স্কুল শিক্ষিকা বাদী হয়ে বাউফল থানায় এজাহার করতে একজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে লিখিত দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা মাহমুদা আসমা বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় মা মেয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরি। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আমাদের দোতলা ঘরের গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে একদল ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে মুখোশ পড়া অবস্থায় আমাদের মা মেয়েকে প্রথমে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাত বেধে নেয়। পরে ডাকাত দল সুকেচ আলমারি ভেঙে টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যাওয়া মুর্হুতে একজনের নাম রায়হান বলে ডাক দেয় এবং ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাকে মোটামুটি চিনতে পারি। যাওয়ার সময় সে ও তার দল কোনও প্রকার ব্যবস্থা নিলে খুব খারাপ হবে বলে চলে যায়। পরে ব্যাপারটি স্থানীয় চেয়ারম্যান কে জানিয়ে থানায় গিয়ে এজাহার করতে লিখিত দিয়েছি।

মেয়ে ঐশী আক্তার ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মা ও আমি ঘরে থাকি। আমার এক ভাই আছেন সে পড়াশোনা করার জন্য ঢাকায় থাকে। আমরা এই ডাকাতির বিচার দাবি করছি।

এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান এসএম ফয়সল আহমেদ মনির মোল্লা বলেন, ভুক্তভোগী এব্যাপারে আমাকে জানালে আমি তাদেরকে দ্রুত আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দেই। এবং পাশাপাশি এব্যাপারে আমিও ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এদিকে স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন জানান, প্রতিদিন প্রতিনিয়ত স্থানীয় চেয়ারম্যানের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে কালাইয়া ইউনিয়ন। চলছে একের পর এক চুরি ডাকাতি সহ মাদকের ছড়াছড়ি। প্রশাসনের অবস্থানও দূর্বল। তাহলে এদের রুখবে কে? তাই স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রইল কালাইয়া ইউনিয়ন বাসীকে শান্তিতে রাখতে ও শান্তিতে ঘুমাতে দেওয়ার জন্য দ্রুত ওই চোর-ডাকাত সহ মাদকের বিরুদ্ধে জোড়ালো ভাবে অবস্থান নেওয়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ