• শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০২:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপে এআই ছবি বানানোর নিয়ম,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এক নজরে দেখে নিন কে কার মুখোমুখি হচ্ছে শেষ ষোলোয়,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ডুন’ পরিচালকের হাত ধরে ফিরছেন জেমস বন্ড,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ইন্দুরকানীতে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে শহীদ হন মনির হোসেন,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আগে স্থানীয় নির্বাচন দরকার, বললেন নুর,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বহুতল ভবন নয়, দীর্ঘশ্বাসের স্তূপ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এবার দক্ষিণ লেবানলে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


কক্সবাজারের উখিয়ায় নির্ভয়ে চলছে বক স্বীকার দেখার কেউ নেই/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন,কক্সবাজার থেকে। / ১৭৫ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩


মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।। 
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার  মাছকারিয়া বিলের ধানিজমিতে পোষা বক দিয়ে ফাঁদ পেতে বুনো বক শিকার করছেন একশ্রেণির কৌশলী শিকারি। পরে এসব বক প্রকাশ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছেন। প্রচলিত আইনে পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ জেনেও তা থেকে বিরত থাকছেন না তাঁরা।
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী মাছকারিয়া বিলে বক শিকারিদের আনাগোনা চোখে পড়ে বেশি। সরেজমিনে  গতকাল বৃহস্পতিবার(২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টায় বিলে ২০ জনের অধিক বক শিকার করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন,
মাছকারিয়া বিলের আশেপাশে বসবাসরত অনেকেই ফাঁদ পেতে পোষা বক দিয়ে বক শিকার করেন। তাঁরা প্রতিদিন প্রায় ৪শ থেতে ৫শ টির বেশি বক শিকার করেন বলে জানিয়েছেন  অমেকেই। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মাঠে একাধিক ব্যক্তি নির্বিঘ্নে বক শিকার করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
স্থানীয় ব্যক্তি কামাল উদ্দিন বলেন, শিকারিরা বক ধরার জন্য একপ্রকার ফাঁদ পাতেন। বাঁশের ছোট বানা বৃত্তাকার করে মাটিতে পুঁতে দেন। এর ওপরের অংশ কলা ও খেজুরের পাতায় ঢেকে দিয়ে পোষা বকগুলো ফাঁদের ওপর বেঁধে রাখেন। পরে তা জলাশয়ের পাশে ও ধানের জমিতে স্থাপন করে ভেতরে লুকিয়ে থাকেন শিকারিরা। পোষা বকের ডাক শুনে বুনো বক আসে। তখন তাঁরা কলাপাতার ফাঁকে হাত ঢুকিয়ে বুনো বক ধরেন।
কামাল উদ্দিন আরও বলেন, অক্টোবর মাস থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত শিকারিরা বক শিকার করেন। প্রতি জোড়া বক ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে  নুর সিকদার বলেন, বক ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। তা জেনেও অনেক শিকারি জলাশয় ও ধানের জমি থেকে বক শিকার করে বিক্রি করিতেছেন, যা মোটেও কাম্য নয়।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান, গত বছর শিকারীর হাত থেকে বক উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। অনেক লোকদের  আমরা শাস্তি’র আওতায় এনেছি।
বক শিকার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন  উখিয়া  রেন্জ কর্মকর্তা  গাজী শফিউল আলম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ