• বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ডাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেন উমামা ফাতেমা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ফেসবুক পোস্টে ডাকসুর ফল প্রত্যাখ্যান করলেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা শিক্ষার্থীরা যদি এটিই রায় মনে করেন, আমি সম্মান জানাই: জিএস প্রার্থী হামিম,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আদালতের স্থগিতাদেশের ফাঁদে বিপুল পরিমাণ ঋণের টাকা,,,,,দৈন ক্রাইম বাংলা ডাকসু নির্বাচনে প্রথমবারের মতো বিজয়ের দারপ্রান্তে শিবির প্যানেল,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বোরহানউদ্দিনে বাজার কমিটির সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। পটুয়াখালীর দশমিনায় গোয়ালঘর থেকে ৪টি গরু চুরি/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নওগাঁর বদলগাছীতে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর মৃত্যু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

কক্সবাজারের উখিয়ায় নির্ভয়ে চলছে বক স্বীকার দেখার কেউ নেই/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন,কক্সবাজার থেকে। / ১৯৪ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩

মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।। 
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার  মাছকারিয়া বিলের ধানিজমিতে পোষা বক দিয়ে ফাঁদ পেতে বুনো বক শিকার করছেন একশ্রেণির কৌশলী শিকারি। পরে এসব বক প্রকাশ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছেন। প্রচলিত আইনে পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ জেনেও তা থেকে বিরত থাকছেন না তাঁরা।
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী মাছকারিয়া বিলে বক শিকারিদের আনাগোনা চোখে পড়ে বেশি। সরেজমিনে  গতকাল বৃহস্পতিবার(২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টায় বিলে ২০ জনের অধিক বক শিকার করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন,
মাছকারিয়া বিলের আশেপাশে বসবাসরত অনেকেই ফাঁদ পেতে পোষা বক দিয়ে বক শিকার করেন। তাঁরা প্রতিদিন প্রায় ৪শ থেতে ৫শ টির বেশি বক শিকার করেন বলে জানিয়েছেন  অমেকেই। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মাঠে একাধিক ব্যক্তি নির্বিঘ্নে বক শিকার করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
স্থানীয় ব্যক্তি কামাল উদ্দিন বলেন, শিকারিরা বক ধরার জন্য একপ্রকার ফাঁদ পাতেন। বাঁশের ছোট বানা বৃত্তাকার করে মাটিতে পুঁতে দেন। এর ওপরের অংশ কলা ও খেজুরের পাতায় ঢেকে দিয়ে পোষা বকগুলো ফাঁদের ওপর বেঁধে রাখেন। পরে তা জলাশয়ের পাশে ও ধানের জমিতে স্থাপন করে ভেতরে লুকিয়ে থাকেন শিকারিরা। পোষা বকের ডাক শুনে বুনো বক আসে। তখন তাঁরা কলাপাতার ফাঁকে হাত ঢুকিয়ে বুনো বক ধরেন।
কামাল উদ্দিন আরও বলেন, অক্টোবর মাস থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত শিকারিরা বক শিকার করেন। প্রতি জোড়া বক ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে  নুর সিকদার বলেন, বক ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। তা জেনেও অনেক শিকারি জলাশয় ও ধানের জমি থেকে বক শিকার করে বিক্রি করিতেছেন, যা মোটেও কাম্য নয়।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান, গত বছর শিকারীর হাত থেকে বক উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। অনেক লোকদের  আমরা শাস্তি’র আওতায় এনেছি।
বক শিকার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন  উখিয়া  রেন্জ কর্মকর্তা  গাজী শফিউল আলম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ