• সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল কানাডায়” খবরটি গুজব, জানাল কারা অধিদপ্তর,,, নির্বাচন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি’ — ইসি সচিব আখতার আহমেদ,,, বিপদের বন্ধু ঘরের ডাক্তার, তার নাম গ্রাম ডাক্তার” — কলাপাড়ায় গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির পরিচিতি সভায় মানবতার সেবায় ঐক্যবদ্ধ গ্রাম চিকিৎসকরা,,,, দৈনিক বাংলাদেশ বাণীর শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি নির্বাচিত হলেন প্রবীণ সাংবাদিক বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু,,, বাউফলে হাতপাখার প্রার্থী আব্দুল মালেক আনোয়ারীর নেতৃত্বে এক হাজার মোটরসাইকেলের বিশাল শোডাউন,,,, শান্তি ও সহযোগিতার বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে : অধ্যাপক ইউনূস,,, প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা যমুনায় যেতে চাইলে শাহবাগে আটকে দেয় পুলিশ,,, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে,, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণার প্রজ্ঞাপন স্থগিত,,, নভেম্বরে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান,,,

কক্সবাজারের উখিয়ায় নির্ভয়ে চলছে বক স্বীকার দেখার কেউ নেই/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন,কক্সবাজার থেকে। / ২০৩ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩

মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।। 
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার  মাছকারিয়া বিলের ধানিজমিতে পোষা বক দিয়ে ফাঁদ পেতে বুনো বক শিকার করছেন একশ্রেণির কৌশলী শিকারি। পরে এসব বক প্রকাশ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছেন। প্রচলিত আইনে পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ জেনেও তা থেকে বিরত থাকছেন না তাঁরা।
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী মাছকারিয়া বিলে বক শিকারিদের আনাগোনা চোখে পড়ে বেশি। সরেজমিনে  গতকাল বৃহস্পতিবার(২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টায় বিলে ২০ জনের অধিক বক শিকার করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন,
মাছকারিয়া বিলের আশেপাশে বসবাসরত অনেকেই ফাঁদ পেতে পোষা বক দিয়ে বক শিকার করেন। তাঁরা প্রতিদিন প্রায় ৪শ থেতে ৫শ টির বেশি বক শিকার করেন বলে জানিয়েছেন  অমেকেই। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মাঠে একাধিক ব্যক্তি নির্বিঘ্নে বক শিকার করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
স্থানীয় ব্যক্তি কামাল উদ্দিন বলেন, শিকারিরা বক ধরার জন্য একপ্রকার ফাঁদ পাতেন। বাঁশের ছোট বানা বৃত্তাকার করে মাটিতে পুঁতে দেন। এর ওপরের অংশ কলা ও খেজুরের পাতায় ঢেকে দিয়ে পোষা বকগুলো ফাঁদের ওপর বেঁধে রাখেন। পরে তা জলাশয়ের পাশে ও ধানের জমিতে স্থাপন করে ভেতরে লুকিয়ে থাকেন শিকারিরা। পোষা বকের ডাক শুনে বুনো বক আসে। তখন তাঁরা কলাপাতার ফাঁকে হাত ঢুকিয়ে বুনো বক ধরেন।
কামাল উদ্দিন আরও বলেন, অক্টোবর মাস থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত শিকারিরা বক শিকার করেন। প্রতি জোড়া বক ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে  নুর সিকদার বলেন, বক ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। তা জেনেও অনেক শিকারি জলাশয় ও ধানের জমি থেকে বক শিকার করে বিক্রি করিতেছেন, যা মোটেও কাম্য নয়।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান, গত বছর শিকারীর হাত থেকে বক উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। অনেক লোকদের  আমরা শাস্তি’র আওতায় এনেছি।
বক শিকার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন  উখিয়া  রেন্জ কর্মকর্তা  গাজী শফিউল আলম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ