• শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপে এআই ছবি বানানোর নিয়ম,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এক নজরে দেখে নিন কে কার মুখোমুখি হচ্ছে শেষ ষোলোয়,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ডুন’ পরিচালকের হাত ধরে ফিরছেন জেমস বন্ড,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ইন্দুরকানীতে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে শহীদ হন মনির হোসেন,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আগে স্থানীয় নির্বাচন দরকার, বললেন নুর,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বহুতল ভবন নয়, দীর্ঘশ্বাসের স্তূপ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এবার দক্ষিণ লেবানলে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


হাত ঘুরলেই তরমুজের দাম লাগামহীন, নিরুপায় সরকার ও প্রশাসন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

এম জাফরান হারুন।। / ৯৮ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪


এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।। 

একজন কৃষক সাত থেকে দশ কেজির একটা তরমুজের দাম পান সর্বোচ্চ ২৭০ টাকা। ঢাকায় আনতে পরিবহন খরচ তরমুজ প্রতি সর্বোচ্চ ত্রিশ টাকা। এরপর তিন দফা হাত বদলে, সেই তরমুজ ক্রেতাদের কিনতে হয় ৬০০ থেকে ৭০০’ এমনকি ৮০০-৯০০ টাকা পর্যন্ত।

তবে অবাক হওয়ার বিষয় হলো জমি থেকে কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে কেনা তরমুজ রাজধানী ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজার হাটে তথা পটুয়াখালী ও বাউফল উপজেলার বিভিন্ন বাজার হাটে আসতেই বিক্রি হয় কেজি দরে।

পটুয়াখালীর বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় তরমুজের আগাম ফলন এবারও বেশ ভালো। রোজার চাহিদাকে মাথায় রেখে কৃষকরা এই তরমুজ ফলিয়েছেন। দেশের দক্ষিণের উপজেলা বাউফলে ৬ থেকে ১০ কেজি এমনকি ১২ কেজি পর্যন্ত একটি তরমুজে কৃষক দাম পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ২৭০ টাকা। তিন থেকে পাঁচ কেজির তরমুজে পাচ্ছেন ১৫০ টাকা।

জানা যায়, ঢাকায় আনতে তরমুজ প্রতি খরচ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা। কিন্তু কৃষকের কাছ থেকে শত’ দরে কেনা তরমুজ ঢাকায় সহ পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন বাজার হাটে তথা বাউফল উপজেলার বিভিন্ন বাজার হাটে সেই তরমুজ বিক্রি হয় কেজি দরে। মূলত কারসাজির উদ্দেশ্যেই কেজিতে বিক্রির ফন্দি।

এদিকে রাজধানীর রাতের পাইকারি বাজার। আড়তগুলোতেও তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে। ৬ কেজির নিচের তরমুজ আড়তে দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। ৬ কেজির বেশি হলে কেজি প্রতি দাম ৭০ থেকে ৯০ টাকা। আড়ত আর কুলির খরচ প্রতি পিসে ৭ টাকা। লাগামছাড়া এই দাম আবার নিজেরাই ঠিক করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

বাগান থেকে বাজারে আসতে লেবুর দাম হচ্ছে দ্বিগুণ! বাগান থেকে বাজারে আসতে লেবুর দাম হচ্ছে দ্বিগুণ

আড়ত মালিকদের দাবি, কারসাজি হয় ফুটপাতের দোকানে। ফুটপাতে সেই তরমুজের কেজি হয়ে যাচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি পচে যাওয়া আর চাঁদাবাজির কারনেই দাম বেশি।

সাধারণ ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কি দেখছি আর কি ঘটছে দেশে। এ যেন লুটপাটের দেশে আমরা জনগণ জিম্মি হয়ে শুধু বাঁচার আকুতি করছি। বাজার হাটে তো যাওয়াই যায় না নিত্য পন্যের লাগামহীন দামে। আবার বছরের একটা ফল তরমুজ, তাও এখন কেজি দরে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। দু একটা তরমুজ কিনে পরিবার নিয়ে খাবো তা কেমনে। এ যেন ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছে তা করছে। তারা তাদের মন মতো একেরপর এক যা খুশি তাই করে যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, এব্যাপারে সরকার প্রশাসনের যেন কোনও প্রকার মাথা ব্যাথা নেই। তাহলে কি নিরুপায় সরকার ও প্রশাসন? তাহলে আমরা জনগণের কি অবস্থা হবে? এমন প্রশ্ন রেখে যাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ