• শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আমরা কলাপাড়াবাসী সংগঠনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কর্মশালা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের নিন্দায় বাংলাদেশ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা : নীতিমালার কাগজে অধিকার, বাস্তবে বন্দী শৈশব,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ভোলার নদী গুলোর মৎস্য অভয়ারণ্যে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা গাজায় আবারও পাঠানো হচ্ছে ত্রাণবাহী নৌযান: ঘোষণা ফ্লোটিলার,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা আ. লীগের শাসনামলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘খেপসা’ খাওয়ালেন বিএনপির নেতা ইন্জিনিয়ার ফারুক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে সেই আলোচিত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোবিন্দ ঘরামি গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

মৎস্য বিভাগের নেই কোন উদ্যোগ নিষিদ্ধ ট্রলিং পদ্ধতি বন্ধে ,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ১৯১ পঠিত
আপডেট: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক পটুয়াখালী জেলার মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য বন্দর আশপাশে এলাকা থেকে প্রায় এক শতাধিক ট্রলার ট্রলিং পদ্ধতিতে মাছ শিকার করে বলে স্থানীয় জেলে সূত্র জানা যায়। এবং প্রতিদিন মহিপুর ও আলিপুর ট্রলিং থেকে মাছ আনলোড করতে দেখা যায়। সরকার নিষিদ্ধ এই ট্রলিং পদ্ধতিতে সাগরে মাছ ধরা বন্ধে নেই কোন উদ্যোগ।

সমুদ্রে নিষিদ্ধ ট্রলিং এ মাছ শিকার বেড়ে যাওয়াতে মাছ কমে যাওয়ার পাশাপাশি মাছের আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞার সুফল মিলছে না বলে জানান মৎস্যজীবিরা। ট্রলিংয়ের কারণে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য বন্দরে ঘুরে দেখা গেছে, সমুদ্রে মাছ শিকার শেষে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আশেপাশে নোঙর করে রাখা রয়েছে ট্রলিং বোট।
এখান থেকেই আবার সমুদ্রে মাছ শিকারে যাচ্ছে নিষিদ্ধ এ নৌযান। সমুদ্রগামী ট্রলারগুলোতে জেলেরা সাধারণত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বড় ফাঁসের জাল ফেলেন। আর ট্রলিং পদ্ধতিতে তুলনামূলক ছোট ফাঁসের চোঙের মতো দীর্ঘ জাল যান্ত্রিক উপায়ে ফেলে দীর্ঘ পথ টেনে টেনে তোলা হয়। এ পদ্ধতিতে নানা জাতের ছোট মাছ ও জালে উঠে আসে জানালেন জেলেরা। মৎস্যজীবীরা জানান, ট্রলিং বন্ধ করা না গেলে আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে সমুদ্রে পানি ছাড়া আর কিছু থাকবে না। ট্রলিংয়ের জালে সব ধরনের মাছ নিধন হচ্ছে। সমুদ্র তীরের বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ছোটমাছ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ট্রলিং দিয়ে শিকার শেষে এগুলো ফেলে দেয়া হয়। ট্রলিং জেলেরা বাছাই করে পছন্দের মাছ রেখে বাকি মৃত্যু মাছ সমুদ্রে ফেলে দেয়। এজন্য কিছুদিন পরপরই দেখা মিলছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও মরা ডলফিন ভেসে আসছে সাগরকন্যা কুয়াকাটার সমুদ্রের পাড়ে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের গবেষকরা বলেন, ট্রলিং পদ্ধতিতে মাছ শিকারের কারণে সমুদ্রে মাছের আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে। এছাড়াও মাছের খাদ্যকণা বিলুপ্ত হচ্ছে। যা মাছের উৎপাদন ও আহরণে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার বক্তব্যে বলেন, এ বিষয়ে আমরা জেলা পর্যায়ে সভায় আলোচনা করেছি নিষিদ্ধ জাল ট্রলিং বোট এর প্রতি কঠোর অবস্থান ও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, আমি মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য বন্দরে নোটিশ দিয়েছি এবং নৌ পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি তারা সচেতন রয়েছে যদি এরকম কোন ট্রলিং বোট দেখা যায় তাৎক্ষণিকভাবে তারা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ