• বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় জয়,,, জামায়াতের নেতাকর্মীরা প্রতিশোধ নেয়নি—মিরপুরে সমাবেশে জামায়াত আমির,,, আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না—আবারও উল্লেখ করলেন প্রধান উপদেষ্টা,,, আবারও স্বর্ণের দাম কমলো বিশ্ববাজারে,, আনসারের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনার অনুমোদন: অর্থ উপদেষ্টা,,, রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ২০টি হত্যা: ডিএমপি,,, দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচারে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার,,, মান্দা ফেরিঘাটে ধানের শীষের গণমিছিল–ডা. ইকরামুল বারী টিপুর প্রতি আস্থা জানাল স্থানীয় জনতা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: ভারতের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ,,, মানবতাবিরোধী অপরাধে রায়: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড,,,,

মাইলস্টোনেরতিন শিক্ষিকার আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ৭৪ পঠিত
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষিকা—মাহেরীন চৌধুরী, মাসুকা বেগম ও মাহফুজা খাতুন—নিজেদের জীবন বাজি রেখে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে যে মানবিকতার অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছেন, তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিহত শিক্ষকদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় তিনি গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “এই দুঃসহ স্মৃতি শুধু আপনাদের নয়, গোটা জাতির। আমরা কেবল সমবেদনা জানাতে পারি, কিন্তু এ শোক মোছার ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, তাদের ত্যাগ সবার হৃদয়ে গর্বের জায়গা করে নিয়েছে।”

সাক্ষাৎকালে নিহত শিক্ষিকাদের পরিবার তাঁদের স্মৃতিচারণ করেন। মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগে স্ত্রীর সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা হয়েছিল। তখনো তিনি নিজের সন্তানদের বদলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচানোর কথাই বলছিলেন। তাঁর দুই ছেলে জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বলেছিল—“মিস আমাদের টেনে টেনে বের করে এনেছেন।”

মাহফুজা খাতুন দীর্ঘ ২৪ দিন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, “আমার মা অনেকখানি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আমি ভেবেছিলাম তাঁকে নিয়ে বাড়ি ফিরব। এখন তিনি নেই, আমি এতিম হয়ে গেলাম।”

অন্যদিকে মাসুকা বেগমের ভগ্নীপতি খলিলুর রহমান জানান, তিনি ছিলেন পরিবারের শক্ত ভরসা। বাবাকে নিয়মিত হাতখরচ পাঠাতেন, বোনের চিকিৎসায় সবসময় পাশে দাঁড়াতেন। পরিবারের বাইরেও শিক্ষার্থীদের জীবন ছিল তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।

তিন শিক্ষিকার অসীম সাহসিকতার প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “তারা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছেন, মানবতার জন্য জীবন বিসর্জন কাকে বলে। এই ঘটনাই সবাইকে প্রশ্ন করেছে—আমি যদি সেখানে থাকতাম, আমি কী করতাম? তাদের আত্মত্যাগ আমাদের ছোট করে দিয়েছে, আবার গর্বিতও করেছে।”

তিনি আশ্বাস দেন, তাঁদের স্মৃতি ধরে রাখতে এবং সাহসিকতাকে জাতীয়ভাবে লালন করতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার।

এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ