
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নায়বে আমির মৌলনা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাযার নামাজকে ঘিরে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হয় চকরিয়া পৌরসভার নামার চিরিঙ্গা এলাকার মোহাম্মদ ফোরকানুর রহমান(৫০) পিতা মৃত ফজলুর রহমান।
মঙ্গলবার ১৫ আগষ্ট বিকেল ৪ টার দিকে এঘটনা ঘটে।
উপস্থিত জনগনের দাবী তিনি পুলিশের গুলিতে নিয়ে নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ অস্বীকার করছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের দায়ীত্বে থাকা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম জানান,চকরিয়া জানাযার নামাজ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে।নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছে পুলিশ।পুলিশের পক্ষ থেকে গুলিবর্ষন করা হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় আরো অনেকে হতাহত হয়েছে,তবে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
স্হানীয় সূত্রে জানা গেছে,দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাযার নামাজ পড়তে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। এজন্য গায়েবানা জানাযার নামাজের স্হান তিনবার বদল করা হয়।সর্বশেষ চকরিয়া পৌরসভার নামার চিরিঙ্গা এলাকার মামা ভাগিনার মাজার সংলগ্ন জায়গায় জানাযার নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রত্যেক্ষ্যদর্শী কয়েকজন জানান, গায়েবানা জানাযার নামাজ পড়তে বিকেল ৪ টার মানুষ মামা ভাগিনার মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।
স্হান সংকুলানের কারণে সেখানে আগেই আরেকটি জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।এ সময়েও অনেকে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন,আবার অনেকেই জানাযা পড়ে ফেরৎ আসছিলেন। ওই সময় বায়তুশ শরফ সড়ক দিয়ে পুলিশের গাড়ি নিয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাবেদ মাহমুদ ও উপজেলা স্বাস্হ্য কর্মকর্তা শোভন দত্ত সহ ঢুকতে দেখে জানাযায় অংশ নেওয়া লোকজন উত্তেজিত হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।এক পর্যায়ে ওসি ও স্ব্যাস্হ্য কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা করেন তারা। এ সময় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।পরে ২০থেকে ৩০ জন মূখোশ পরা ব্যাক্তি ও অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।এতে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘঠনা ঘটে। সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ছয় থেকে ৭ জন আহত হন।
চকরিয়া উপজেলা স্ব্যাস্হ্য কমপ্লেক্সের দায়ীত্বরত কর্মকর্তা ছৈয়দ ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই ব্যাক্তি মারা যান।তার মাথার পিছনে ছররাগুলির আঘাত লেগে,প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ বলেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করতে গিয়ে তিনিসহ পুলিশের ৬ জন সদস্য আহত হয়েছেন। মুলত দুপক্ষের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। তবে দুপক্ষের মধ্যে কোনটা কার পক্ষ তা নিশ্চিত নন তিনি।
চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জেপি দেওয়ান জানান,গায়েবানা জানাযার নামাজ পড়তে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।তারা জোড় করে নামাজ আদায় করিতেছে।মিছিল নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করেছেন। এঘটনায় আইনগত ব্যাবস্হা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জেপি দেওয়ান।