• শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের,,, দুদিনের সফরে পাবনায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন,,, ১৯৭৫ সালের বিপ্লব ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান একই প্রেক্ষাপট থেকে উদ্ভূত : আসিফ মাহমুদ,,, প্রধান উপদেষ্টাকে বিবৃতিতে সংযত থাকার আহ্বান ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর,,,, অপচেষ্টা রুখে দিতে সাধারণ ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান’,,, কাল থেকে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা,,, শিরোনাম: নির্বাচনের দিনই গণভোট—অন্যথায় জাতি মানবে না: মির্জা ফখরুল,,, ইসির প্রস্তুতি সম্পন্ন, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই জাতীয় নির্বাচন,,, বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা ছিল দেশের টার্নিং পয়েন্ট: ফখরুল,,, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই: প্রেস সচিব,,,

বিলুপ্তির পথে তাল খেজুরের গাছ হারিয়ে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দিত বাবুই পাখির বাসা ফরিদপুরের ।

রিপোর্টার: / ৮১০ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০২০

এসএম আবুল বাশার’ ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :-   দৃষ্টিনন্দন বাসা তৈরির নিপুণ কারিগর বাবুই পাখি। গাছপালা বিশেষ করে তালগাছের মাথায় ঝুলন্ত বাবুই পাখির বাসা যে কাউকে নস্টালজিক করে তোলে। চাঁদপুরের যত্রতত্র এ রকম অগণিত বাসা একসময় সবার চোখ জুড়াত। সে দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসাগুলো। আগের মতো বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা এখন আর চোখে পড়ে না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার নিপুণ বাসা তৈরির কারিগর বাবুই পাখিও। এক সময় ফরিদপুরের প্রত্যেকটি গ্রামে তাল গছ খেজুর গাছ নারিকেল গাছে প্রচুর বাবুই পাখিকে বাসা বাঁধতে দেখা গেছে  কিন্তু আজ বাবুই পাখির বাসা বুনতে দেখা যায় না । গ্রামাঞ্চলে অবাধ বিচরণ ছিল এদের। বাবুই পাখির মন মাতানো কিচিরমিচির সুরেলা শব্দ আগের মতো শোনা যায় না। তেমন চোখেও পড়ে না বুদ্ধিমান বাবুই পাখি ও তাদের দৃষ্টিনন্দন বাসা।
এসব বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই ছিল না, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগাত এবং আত্মনির্ভশীল হতে উৎসাহ দিত। কিন্তু কালের বিবর্তনে ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে পাখিটি আমরা হারাতে বসেছি।  প্রকৃতি থেকে তাল আর খেজুর গাছ বিলুপ্ত হওয়ায় বাবুই পাখিও হারিয়ে যেতে বসেছে। বাবুই পাখির বাসা উল্টানো কলসির মতো দেখতে। বাসা বানাবার জন্য বাবুই খুব পরিশ্রম করে। ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ সারায়। যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে গোল অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা হয়। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ হয়। কথিত আছে, রাতে বাসায় আলো জ্বালার জন্য বাবুই জোনাকি ধরে এনে গোঁজে।বাবুই তাল, নারকেল, খেজুর, রেইনট্রি গাছে দলবেঁধে বাসা বোনে। বাবুইয়ের বাসা করার জন্য প্রয়োজন হয় নলখাগড়া ও হোগলার বন। বাবুই গোত্রের পাখিদের বলা হয় তাঁতী পাখি। চিরল পাতায় কুঁড়েঘরের মতো ঝুলন্ত বাসা বানায় বলেই এদের এ নামে ডাকা হয়। একসময় ফরিদপুরের গ্রামাঞ্চলে বাবুই পাখি দেখা যেত। দেশি বাবুই, দাগি বাবুই ও বাংলা বাবুই। তবে বাংলা ও দাগি বাবুই এখন বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে কিছু দেশি বাবুই দেখা যায়। বাসা তৈরির জন্য বাবুই পাখির প্রথম পছন্দ তাল গাছ। এরপর নারিকেল, সুপারি ও খেজুর গাছ। এরা খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কচিপাতা, ঝাউ ও কাঁশবন দিয়ে বাসা বাঁধে। বাসার গঠনও বেশ জটিল। তবে আকৃতি খুব সুন্দর। বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন তেমনি মজবুত। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রাযেকদা টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক অসীম কুমার দাস জানান একসময় কামালদিয়া ও জাহাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চোখে পড়ত দৃষ্টিনন্দন অগণিত বাবুই পাখির বাসা। বর্ষা মৌসুমেও নিজ বাসায় নিরাপদে থাকে এই পাখি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে হালকা হাওয়ায় উঁচু তালগাছে দোল খায় বাবুই পাখির বাসা। এখন হারিয়ে গেছে এসব প্রাকৃৃতিক দৃশ্য।  একদিকে বাবুই পাখি শিকার অন্যদিকে তাল গাছ ও খেজুর গাছ বিলুপ্তির কারণে বিলুপ্ত হচ্ছে বাবুই পাখি। ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার এসব পুরনো রূপবৈচিত্র্য। হারিয়ে যেতে বসেছে প্রকৃতির শিল্পী পাখির ভোরবেলার কিচিরমিচির সুমধুর ডাকাডাকি। ইতিমধ্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ফরিদপুর সর্বজন শ্রদ্ধেয় সকলের প্রিয় শিক্ষক নুরুল ইসলাম স্যার ফরিদপুরে বাবুই পাখির ও তার দৃষ্টি নন্দন বাসার কথা চিন্তা করে ২০০০ খেজুর ও তাল গাছের বীজ রোপণ করেন বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ