• সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীতে ইলিশ শিকার: তিন জেলেকে জরিমানা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক — এবিএম মোশাররফ হোসেন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার এমপি প্রার্থী বীথিকার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভোলায় অস্বচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে ভোলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় আগুনে পুড়ে তিন দোকান ভস্মীভূত।। দোকান মালিকদের ঢেউটিন, নগদ টাকা ও শুকনা খাবার বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্ম বিরতি/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় ৩ জেলেকে জরিমানা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক — এবিএম মোশাররফ হোসেন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে দালালের উৎপাতে অতিষ্ঠ গ্রাহক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

মনির হাওলাদার / ১৬৯ পঠিত
আপডেট: বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩

মনির হাওলাদার: পটুয়াখালীর মহিপুর থানার কুয়াকাটায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে দালাল চক্রের মাধ্যমে চলছে অর্থ বাণিজ্য। সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের অসহায় গ্রাহক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের প্রতিটা ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুতায়ন‘ কর্তৃপক্ষের এ প্রতিপাদ্য বিষয়টাকে কাজে লাগিয়ে কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নিয়ন্ত্রণাধিন দালালরা টাকার লোভে নিজেদের আখের গোছাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, কুয়াকাটার যেসকল বাড়িতে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নী, সেসকল বাড়ির লোক সংযোগ নিতে কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম (বড় কর্তা) মোশাররফ হোসেনের কাছে যান। সেখানে তার কাছ থেকে কোন সু পরামর্শ ও সহযোগিতা না পেয়ে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে দালালের কাছে। আর দালালের কাছে কোন মিটারের জন্য গেলে দিতে হয় তিন থেকে চার হাজার টাকা। এই অসাধু চক্রের সাথে বড় বাবু এজিএম সাহেব জড়িত রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ।
অভিযোগে জানা যায়, কুয়াকাটা সাব-জোনাল অফিসের আওতাধিন শুধু মাত্র লতাচাপলী ইউনিয়নে এরকম দালাল রয়েছে ১০ থেকে ১২জন। এছাড়া কুয়াকাটা পৌরসভা ও পাশবর্তী ইউনিয়নের জন্য আরো অনেক দালালচক্রতো আছেই।
অভিযোগে আরও জানা যায়, দালালের মাধ্যমে মিটার পেতে কোন রকম কাগজ দিলেই হচ্ছে, আর দালাল ছাড়া গেলে এই কাগজ, সেই কাগজ ইত্যাদির বাহানা। অপরদিকে অনলাইনে ফরম পূরণ করে মিটার পেতে সময় লাগে প্রায় এক থেকে দেড় মাস।
এছাড়া সংযোগকৃত কোন লাইনে কোন ধরণের সমস্যা হলে অফিসে যোগাযোগ করলে তিন চার দিন পরে অফিস থেকে লোক এসে ঠিক করে দেন। আবার অনেক সময় ওই সকল দালাল পাঠিয়ে ঠিক করে দেন, সেখানে দিতে হয় তাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ।
ভুক্তভোগি গ্রাহক নাজমা, রিপা বলেন, আমাদরে বাসায় কিছুদিন আগে বিদ্যুৎ না থাকার বিষয় কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানালে তারা চার দিন পরে অফিসের বাহিরের লোক পাঠিয়ে সংযোগ ঠিক করে দেন। এতে আমাদের দু‘টি পরিবারের ফ্রিজে থাকা মাছ, মাংস নষ্ট হয়ে যায়। তাতে আমাদের প্রায় বিশ হাজার টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে যায়।
গ্রাহক আবুল কালাম বলেন, আমার বাসার বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা দেখা দিলে কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সমাধান পাইনী। পরে স্থানীয় সংবাদ কর্মীর সাথে আলাপ করলে বিষয়টি সমাধান হয়। তিন দিন পর সমস্যা সধান হওয়ায় আমার ফ্রিজের মাছ, মাংসের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
ভুক্তভোগি মিজান বলেন, যখন আমরা কলাপাড়া উপজেলাধীন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের আওতাধিন ছিলাম, তখন মহিপুরে একটি অভিযোগ কেন্দ্র ছিল, সেখানে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কয়েকজন লাইনম্যান ছিল, তখন আমরা কুয়াকাটা অফিসের চেয়েও ভালো সেবা পেয়েছি।
কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মো: মোসারেফ হোসেন বলেন, এখানে কোন দালালচক্র নেই, মিটারের জন্য আবেদন কটতে হয় অনলাইনে। আবেদন পাস হলেই সংযোগ দিয়ে দেয়া হয়। আর মিটার নেয়া গ্রাহক কোন অভিযোগ করলে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্হা নেয়া হয়।

এ বিষয় পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা ব্যবস্থাপক তুষার কান্তি মন্ডল( ০১৭৬৯৪০০০৬৬) বলেন, দালালের কাছে না গিয়ে অনলাইনে ফরম পূরণ করলে মিটারের ব্যবস্থা হবে। আর সংযোগে সমস্যা হলে অফিসে অবগত করলে তারা সমাধান করবে। আর না করলে এধরণের অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং অভিযোগকারীদের তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ