জেলা প্রতিনিধি।।
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় শিকর ঋণদান সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষের নিকট ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে কীর্তিপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক। এ তিনজনকে অভিযুক্ত করে ঝালকাঠি জেলা সেনা ক্যামে অধিনায়ক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন শিকর ঋণদান সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগ সূত্রে জানাযায় আগস্ট মাসের ২৪ তারিখ বিকেলে কীর্তিপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান মোবাইল ফোনে শিকার সমবায় সমিতির সভাপতি সুমনের নিকট ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন। তিনি ফোনে জানান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনিসুজ্জামান চপল এক লক্ষ টাকা রেডি রাখতে বলছেন ২৫ তারিখ সকালে তারা টাকা নিবেন। ২৫ আগস্ট সকাল দশটায় অভিযুক্ত কৃত্তিপাশা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান ডুমুরিয়া শিকর ঋণদান সমিতির কার্যালয়ে এসে তাদের দাবিকৃত টাকা চায়।আমি চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা জানালে বিভিন্ন মামলার আসামি করা সহ নানা হুমকি দিয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন চপল ও তার সঙ্গীরা। ২৫ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে বিএনপি নেতা চপল শফিকুল এবংকামরুল সহ কয়েকজন সমিতির গ্রাহক সমিতি কার্যালয়ে আসে।সদস্যদের সামনেই সমিতির সভাপতি সুমন মজুমদার সাধারণ সম্পাদক গ্রীন বিশ্বাসকে মারধর করে সমিতির নিকট গ্রাহকদের পাওনা পরিষোধের জন্য চাপ সৃস্টি করেন চপল গংরা। এসময় সুমন মজুমদার ও গ্রীন বিশ্বাস বলেন গ্রাহকদের পাওনা সমুদয় পরিশোধ করতে একটু সময় লাগবে।একথা শুনে চপলসহ অন্যান আগন্তকরা শিকর সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতর নামে ক্রয়করা করা ৭টি দলিল ও পর্চা নিয়ে যায়। শিকর সমিতি কর্তৃপক্ষ স্থানীয় পর্যায়ে কোন প্রকার সমাধান করতে না পারায় ঝালকাঠি জেলা সেনা ক্যাম্পে ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করেন। এ ব্যাপারে আনিসুজ্জামান চপল বলেন “অনেক গ্রাহক দীর্ঘদিন পর্যন্ত টাকা না পেয়ে ভোগান্তিতে আছে।গ্রাহকদের চাপের মুখে সমিতি কর্তৃপক্ষ তাদের কয়েকটি দলিল আমাদের কাছে জমা রাখে।আমি কোনপ্রকার চাদা দাবী করিনি।একটি কু চক্রি মহল ষড়যন্ত্র করে বিভ্রান্তির সৃস্টি করছে।এ ব্যাপারে শিকড় সমবায় সমিতির সভাপতি সুমন মজুমদার বলেন “করোলা কালীন সময় হতে আমাদের সমিতি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থের মধ্যে আছে। গ্রাহকদের পাওনা টাকা একটু সময় সাপেক্ষে পরিশোধ করব। বিএনপি নেতাদের আচরণ আমরা ক্ষুব্ধ। চপল সহ তিন নেতার কাছে আমাদের সমিতির অনেকগুলো দলিল জমা আছে। আমি এই দলিল গুলো ফেরত পেতে এবং ন্যায় বিচার চেয়ে ঝালকাঠি সেনা ক্যাম্পে আবেদন করেছি। স্থানীয় সুত্রে জানাযায় হাটের ইজারা বালু ব্যাবসয়ীদের হয়রানি সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা চপল সহ তার সহযোগীরা।