লৌহজংয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান: ১০ জেলে আটক, ৩৫ কেজি ইলিশ জব্দ
৮ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস, মাছ বিতরণ এতিমখানায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১০ জন জেলেকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় প্রায় ৮ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার পদ্মা নদীসংলগ্ন বিভিন্ন চর ও এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, থানা ও নৌ-পুলিশ এবং মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযানে অংশ নেয়।
অভিযানে মা ইলিশ সংরক্ষণ বিধিমালা অমান্য করে মাছ ধরার অভিযোগে ১০ জন জেলেকে আটক করা হয়। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন অংকের অর্থদণ্ড প্রদান ও আদায় করা হয়।
কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস, মাছ গেল এতিমখানায়
অভিযানে ৮ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। জব্দ করা ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। অভিযানের সময় এলাকাবাসীকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন চার্লস জিকো বম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ পারভেজ, এবং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম। এছাড়া, পুলিশ ও কোস্টগার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন।
অভিযান চলবে: ইউএনও
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন বলেন, “মা ইলিশ সংরক্ষণে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। কেউ নিয়ম ভাঙলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় প্রতি বছরই অক্টোবর মাসে সরকার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেশের নদ-নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করে। এ সময় মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রয় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকে।