
সেলিম মিয়া, রংপুর।।রংপুরে গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার (২৯ অক্টোবর)। এই সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীরা নানা ধরণের প্রস্তুুতি নিয়েছেন। এরই মধ্যে শুক্রবার ভোর থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি। সমবেশে ঘিরে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে প্রশাসন। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই নগরীর প্রবেশ পথে পুলিশ চেকপোস্ট নজরদারি দেখা যায়।
এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষজনের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। অনেকেই এতে ভোগান্তিতে পড়বেন। তবে এবারের গণ-সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে সাড়া ফেলে ‘চলো চলো রংপুর চলো’ স্লোগান। পথে পথে এই স্লোগান তুলে দলীয় নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে শুরু করায় নতুন মাত্রা পেয়েছে এই সমাবেশ।
এদিকে সমাবেশের জন্য জিলা স্কুল মাঠ চেয়ে আবেদন করলেও মহানগর পুলিশ অনুমতি দিয়েছে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠের। ইতিমধ্যেই মাঠে মঞ্চ বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই গত তিনদিন ধরে দলীয় নেতাকর্মীরা রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নিয়ে মঞ্চ তৈরির কাজ তদারকি করছেন। রংপুর নগরীসহ বিভাগের সকল জেলা-উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড-গ্রাম পর্যন্ত পোস্টার- ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। সব চেয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে ‘চলো চলো রংপুর চলো’ স্লোগান।
এরই মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীসহ মানুষজন রংপুরের গণ-সমাবেশে আগাম হাজির হচ্ছে। কেউ কেউ চিড়া-মুড়ি-গুড়সহ সাথে এনেছেন কাঁথা-কম্বলও। বৃহস্পতিবার অনেকেই নগরীর আবাসিক হোটেল, ছাত্রবাস, স্বজন, পরিজন ছাড়াও নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান নিচ্ছেন। শুক্রবারের মধ্যেই সমাবেশের ৪০ ভাগ লোক রংপুরে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তবে পুলিশ নেতাকর্মীদের এখনও গ্রেফতার না করলেও ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানীর আশংকা করছেন দলের নেতারা। দলীয় নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, নেতাকর্মীরা শুকনা খাবার চিড়া-গুড়, পানি ও কাঁথা-বালিশ নিয়ে শুক্রবার দুপুরের মধ্যে সমাবেশে অবস্থান নেবে। যে কোন পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুত।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।