নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ বারবার আলোচনায়, কিন্তু কেন ?
গত ৩০ অক্টোবর ছিল আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সন্মেলন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন,
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন। জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, কেন্দ্রীয় আন্তজার্তিক সম্পাদক শাম্মি আক্তার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তাদের সামনেই
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো মতিয়ার রহমানের নির্দেশ ক্রমেই যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বাদল খান ও যুবলীগ নেতা দাবি করা আজাদ সহ উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মোঃ সবুজ ম্যালাকার, শাহাবুদ্দিন শিহাব ও ইসফাক আহম্মেদ, সুজন প্যাদা, রুহুল আমিন ও ত্বোহা সহ ২০-২৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জিএম মুছা, জিএম হাসান, মুবদী সরোয়ার সোয়াম,গাজী রুবেল, গাজী মোঃ বায়েজিদ, শাহীন, সোহেল রানা, রাকিবুল ইসলাম, আলী হোসেন, জসিম হাওলাদার, তাজুল ইসলাম,মধু মোল্লা, দুলাল পাহলান, ময়জদ্দিনের উপর হামলা করে।
জিএম মুছা, জিএম হাসান এরা কার সন্তান এটা কি ভুলে গেছে আজকের আওয়ামী নেতারা?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের সেই মুবদী সরোয়ার সোয়ামের উপর যখন আজাদ হামলা করে তখন বলতে ছিল। মতি মামায় ওকে মেরে ফেলতে বলছে ওকে মার।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা হামলা করেছে তারা কারা?
তাদের অতিত কি ছিল?
জাতীয় পার্টি, বিএনপি জামাত সরকারের সময় যারা ঐ দলের লোক হয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছিল। আজ তারাই আবার হাইব্রিড আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের
সামনে ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে।
তবে আমতলীর রাজনীতিতে আজাদ এখন আরেক আতংকের নাম
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান,আজাদের পিতা ছিল একজন ঘড়ির মেকার। মেয়রের কালো টাকার আশীর্বাদে এখন তার মাইক্রো গাড়ির ব্যবসা।
আর এই গাড়িতেই নাকি চলে আবার মাদক আনা নেওয়ার কাজ। মাদকের কালোটাকায় এখন নিজেকে
বড় মাপের নেতা মনে করে এরা।
তবে আওয়ামী লীগের নির্ভর সূত্রে জানাগেছে সম্মেলনে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের কমিটিতে পদ পদবী দেওয়া হবেনা।
এ সকল সন্ত্রাসীরা কিভাবে আওয়ামী লীগের মত ঐতিহ্যবাহী দলে স্থান পায়?
কারা এদের মদদদাতা?
এদের খুঁজে বের করে সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
নয়তো আওয়ামী লীগের দূর্গ নামে পরিচিত বরগুনা জেলায় আওয়ামী লীগের পরাজয় হতে পারে।