নুরুল আমিন, স্টাফ রিপোর্টার।।
ভোলার লালমোহনে বাল্য বিয়ের ৬০ লক্ষ টাকা কাবিন করলেন সাইফুল কাজি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় বিরাজ করছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সুশীল সমাজের গুণিজন ও এলাকাবাসী। জনমনে প্রশ্ন সাইফুল কাজির খুঁটির জোর কোথায়?
লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তৈয়ব মাস্টার ও একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক জোসনা বেগমের ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হয় ৬০ লক্ষ টাকা কাবিনে। ৬০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে শিক্ষকের বেকার ছেলের ও আরেক শিক্ষকের অপ্রাপ্ত বয়সের মেয়ের বিয়ে নিয়ে তোলপাড় চলছে। বুধবার রাতে বিয়ের কাবিননামার কপি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন শিক্ষক আবু তৈয়ব। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেটি। শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ বিয়েকে কেন্দ্র করে এখন লালমোহনে চলছে তোলপাড়। কাজি সাইফুল কেমন করে বাল্য বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রি করলেন এটা এখন আলোচ্য বিষয়।
জানা যায়, লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বের ছেলে আহসান হাবিব রায়হানের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের ওই কাবিনে কনের বয়স ১৮ বছর ৬ মাস দেখালেও তার পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সনদ অনুযায়ী বয়স ১৬ বছর ৬ মাস। এর আগে ছেলে-মেয়ে পালিয়ে গিয়ে গত ২ মার্চ ১ লাখ টাকা দেনমোহরে পাবলিক নোটারীর মাধ্যমে নিজেরাই বিয়ে করে। পরে গত ৫ জুলাই বর-কনের পরিবারের সমঝোতায় পূণরায় ৬০ লাখ টাকা দেনমোহরে কাবিন করা হয়। যেখানে দেনমোহরের ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ দেখানো হয়েছে।
নিজের ফেসবুক আইডিতে ৬০ লাখ টাকা দেনমোহরে কাবিনের কপি পোস্ট করার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক আবু তৈয়ব বলেন, আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। সেখান থেকে ভুয়া কাবিননামার কপি পোস্ট করা হয়েছে। ১ লাখ টাকা দেনমোহরেই আমার ছেলের বিয়ের কাবিন হয়েছে।
এ ব্যাপারে লালমোহন পৌরশহরের নিকাহ রেজিস্টার কাজি মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ জুলাই ৬০ লাখ টাকা দেনমোহরে আমার কাছে তৈয়ব মাস্টার তার ছেলের বিয়ের কাবিন করান। এ সময় দুই পক্ষেরই লোকজন উপস্থিত ছিল। ছেলেমেয়ের বয়স ও বাল্য বিয়ের বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি দ্রুত ফোন কেটে দেন। এরপর অন্তত বিশ বারের উপরে ফোন দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।