• বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় জয়,,, জামায়াতের নেতাকর্মীরা প্রতিশোধ নেয়নি—মিরপুরে সমাবেশে জামায়াত আমির,,, আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না—আবারও উল্লেখ করলেন প্রধান উপদেষ্টা,,, আবারও স্বর্ণের দাম কমলো বিশ্ববাজারে,, আনসারের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনার অনুমোদন: অর্থ উপদেষ্টা,,, রাজধানীতে প্রতি মাসে গড়ে ২০টি হত্যা: ডিএমপি,,, দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচারে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার,,, মান্দা ফেরিঘাটে ধানের শীষের গণমিছিল–ডা. ইকরামুল বারী টিপুর প্রতি আস্থা জানাল স্থানীয় জনতা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: ভারতের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ,,, মানবতাবিরোধী অপরাধে রায়: শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড,,,,

তালতলীতে কাঁচা সড়কে ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

এস এম নাসির মাহমুদ।। / ১৬৫ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এস এম নাসির মাহমুদ।। 

বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমাখোলা গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার কঁাচা সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কে ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ করে পঁাকা করনের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসী। শনিবার সকালে স্থানীয় গ্রামবাসীরা এ অভিনব প্রতিবাদ করেন।
স্থানীয়রা জানান, সোনাকাটা ইউনিয়নের বড় আমখোলা গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার কঁাচা সড়ক রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সড়কটি কাদায় পরিপূর্ন হয়ে যাওয়ায় এই সড়ক দিয়ে গ্রামবাসীদের চলাচল দায় হয়ে পড়ে। ফলে মানুষজনদের চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টির সময় কঁাদার পরিমান এতই বেড়ে যায় যে কোন রকম খালি মানুষও চলতে পারে না। সড়কটিতে কঁাদা থাকার কারনে বর্ষাকালে শিক্ষাথীরা স্কুলে যেতে পারে না। এছাড়া স্থানীয়দের উৎপাদিত কৃষি পন্যও বাজারে নিতে পারেনা। রোগী কিংবা গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া যায় না। ফলে নিরুপায় হয়ে ওঝা কবিরাজের শরনাপন্ন হতে হয় তাদের। সড়কটির বেহাল দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পঁাকা করনের দাবী জানিয়ে এলাকাবাসী শনিবার সকালে রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বড়আমখোলা গ্রামটিতে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের বসবাস। এছাড়া এই গ্রামটিতে রয়েছে ডক্টর একেএম মজুমদার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই গ্রাম থেকে প্রতিদিন তালতলী উপজেলা শহরসহ দেশের ভিভিন্ন এলাকায় চলাচল করে। কিন্ত সড়কটি বর্ষা মৌসুমে এতই খারাপ থাকে যে স্বাভাবিক ভাবে কোন মানুষ চলাচল করতে পারেনা।
স্থানীয় ষাটোর্ধ আলেয়া বেগম বলেন, ওরে বাবা এই রাস্তায় এত কাদা মোর বাহের বষ্যেও দেহি নাই। বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। ডক্টর এ কে এম মজুমদার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাসেল বলেন, বৃষ্টির দিনে এই রাস্তা দিয়া মোরা স্কুলে যাইতে পারি না। কাদায় জামা কাপর নষ্ট অইয়া যায়। মীম নামের আরেক শিক্ষাথর্ী বলেন, বৃষ্টি অইলে মোরা আর স্কুলে যাইতে পারি না
স্থানীয় বাসিন্দা মোশারফ হোসেন মোল্লা, সোহেল খানসহ একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কোন জনপ্রতিনিধি সড়কটির উন্নয়নে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি।
ডক্টর এ কে এম মজুমদার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বৃষ্টির দিনে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। আসলেও তাদের কাপর চোপর কাদায় নষ্ট হয়ে যায়।
সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.ইউনুস ফরাজী বলেন, সড়কটি পঁাকা করনের জন্য উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সভায় আলোচনা করা হবে। এবং পাকা করনের ব্যবস্থা করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ