• সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নৈরাজ্যের আশঙ্কায় গণতন্ত্র রক্ষায় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের,,, আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি,, বিশ্বের একমাত্র স্বৈরশাসক নেত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা – মেজর হাফিজ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নির্বাচনের আগেই গণভোট বাতিল ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি ৮ দলের,,,, দেশের সব সমস্যার সমাধান নির্বাচিত সরকারের হাতে—আমীর খসরু,,, বাউফলে এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের নির্দেশে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন সহধর্মিণী/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুরআন প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বাউফল মদিনাতুল উলূম নুরানি হাফেজি ক্যাডেট মাদ্রাসা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা,,, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার কোনো লকডাউন বাংলাদেশে চলবে না”— বাউফলে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের ঘোষণা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত সনদ নিজেই লঙ্ঘন করেছেন: সালাহউদ্দিন আহমদ,,,

রাজধানীতে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করতে হবে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ৭৯ পঠিত
আপডেট: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

যানজটের এই অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো। মানুষের স্বাভাবিক হাঁটাচলার কোনো উপায় থাকে না। এছাড়া সিটি করপোরেশনগুলোতে জনপ্রতিনিধি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না। সঠিক সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় রাজধানীর পয়োনিষ্কাশনের নালা ও ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই নোংরা পানি মানুষের বসতভিটা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢ়ুকে পড়ছে। লঘুচাপের প্রভাবে রাজধানীতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সামনে বর্ষা মৌসুম, এই সময়টায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলতে থাকে। এতে নগরবাসীর দুর্ভোগ আরও বেশি হয়। একটু বৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো যানজটের কবলে পড়ে। অনেক সময় যান উল্টো পথে চলাচল করতে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীতে ট্র্যাফিক সিস্টেমও অকার্যকর হয়ে পড়ে। যানজটের এই অসহনীয় পরিস্থিতিতে অনেক যাত্রী হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে একটু বৃষ্টিতেই এমন পরিস্থিতি হরহামেশাই ঘটছে। নীচু এলাকাগুলোতে পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার কাজ হচ্ছে না। আবার কোনো কোনো এলাকায় পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। যে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি সর্বত্রই পানিতে ডুবে যায়। রাজধানীর ডিএনডি বাঁধসহ বহু এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে যায়। এতে বৃষ্টির পানি জমে থাকে দিনের পর দিন। হাঁটুপানিতেই চলাচল করতে হয় ওইসব এলাকার মানুষকে। পুরান ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা সবচেয়ে অপ্রতুল। হালকা বৃষ্টি হলেই ড্রেন ভরে রাস্তায় জমে যায় পানি। দুর্গন্ধযুক্ত ও পচা পানিতেই চলতে হয়ে পুরান ঢাকাবাসীকে। একই অবস্থা রাজধানীর অন্যান্য এলাকারও। ঢাকার পার্শ্ববর্তী প্রায় সবকটি নদীর জায়গা দখলের কারণে নদী হারিয়েছে তার প্রাণ। এছাড়া ঢাকায় আশপাশে প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় খালের দেখা পাওয়া যেত আগে, যা এখন আর নেই। এসব কারণে পানি নেমে যাবার মতো জায়গা পায় না, ফলে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ঢাকার দুর্বল পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাও জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী। ঢাকায় যে ধরনের ড্রেনেজ সিস্টেম রয়েছে তাতে খুব সহজেই পানির সঙ্গে পলিথিন এবং অন্যান্য অপচনশীল পদার্থ ভেসে গিয়ে নালার মধ্যে আটকে যায়, যে কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও নালা দিয়ে পানি খোলা জলাশয়ে পৌঁছাতে না পারার কারণে নালা উপচে পানি বাইরে চলে আসে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করতে হবে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসার আগেই নালা-নর্দমা-ড্রেনগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে পরিকল্পিত নগরায়ণ গড়ে তোলার ওপর সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এখনি জোর দিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ