নিজস্ব প্রতিদেক :: ইকোনোমিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এন্ড এগ্রিকালচার ফান্ডিং ফাউন্ডেশন (ইডাফ) এর নাম ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র সাধারন মানুষদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা । শুধু তাই নয় ইডাফের নাম ও লোগো ব্যবহার করে মানুষদের চোখে মান ক্ষুন্ন করছে তারা। তবে (ইডাফের) সেই নতুন নামকরণ করা হয়েছে- ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এ্যাকটিভ ফাউন্ডেশন। এর কোন রেজিস্ট্রেশন বা কোথাও থেকে কোনো ছাড়পত্র নেয়া নেই। ইকোনোমিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এন্ড এগ্রিকালচার ফান্ডিং ফাউন্ডেশন (ইডাফ) এর চেয়ারম্যান , মোছাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস এ বিষয়ে গুলশান থানায় সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে। তাদের এসব অপকর্ম রোধ ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে ইডাফ নির্বাহী পরিষদ।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনাতনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইডাফের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এটা একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক, বেসরকারি, নিরপেক্ষ, আর্থসামাজিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারী পুরুষের সমঅধিকার, মানবাধিকার সুরক্ষা, আবাসন সহায়ক, পরিবেশ সুরক্ষা, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, বয়স্ক পরিচর্যাকেন্দ্র, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজরা) মাদকাসক্ত পুনর্বাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী দাতব্য প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, ফাউন্ডেশনের বিনিয়োগ প্রকল্পের নাম ব্যবহার করে কতিপয় অসাধু ব্যক্তিবর্গ নকল আবেদন ফরম তৈরি করে দেশের বিভিন্ন এলাকার সহজ সরল মানষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে আসছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অসংখ্য সাধারন মানুষ। সাধারন মানুষকে এই প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইডাফ চেয়ারম্যান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মাঝে ইডাফের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাধারন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।এদিকে এ বিষয়ে নতুন নামকরণ করা ইডাফের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, তাকে ইডাফের প্রকৃত নাম ঠিকানা দিয়ে সাহাদাত নামের একজন সদস্য বানিয়েছে। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন জান্নাতুল ফেরদৌসের (ইডাফই) প্রকৃত প্রতিষ্ঠান। নতুন প্রতিষ্ঠানে রহিমা নামের একজনকে চেয়ারম্যান বানানো হয়েছে। তারা মিরপুর-১০ নম্বর সার্কেলে ডাচ বাংলা ব্যাংকে এ্যাকউন্ট খুলে লেনদেন করছেন।