জানা যায়, বালুরচর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের জনৈক মহিলা ৫সন্তানের জননী প্রায় নয় বছর আগে স্বামীহারা হয়ে সন্তান সন্ততি নিয়ে বাড়িতে বসবাস করছেন। বিধবা এই মহিলার বয়স প্রায় ৫০ বছর। তিনি এলাকায় সুনাম ও সম্মানের সহিত দিনযাপন করছেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন এবং পর্দানশীন চলাফেরা করেন বলে এলাকাবাসী জানান। তার ঘরের লোকজন ঈদের পরে বেড়াতে গেলে তিনি বাড়িতে একা থাকেন। ঘটনার দিন ৩০ মে সকাল অনুমান ১১টার দিকে পাশাপাশি বাড়ির ছায়েদুল হকের ঘরে এক বেলার ভাত আনার জন্য যান। ওই সময় ওই ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে ছায়েদুল হকের ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবির নিরব ওই বিধবা মহিলাকে ঘরে নিয়ে সামনের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং ওই বিধবাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই বাড়িতে একটি মাত্র ঘর হওয়ায় আশপাশে কোন লোকজন ছিল না। বিধবার চিৎকার কান্নাকাটি চার দেয়ালে থেকে যায়। ধর্ষণের পর এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ওই বিধবাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার ওই বিধবা মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং আশপাশের লোকজনকে ঘটনা জানিয়ে কান্নাকাটি করে বিচার দাবী করেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ৪জুন তাকে লালমোহন হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করানো হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হতে থাকলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ৭জুন তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তিনি চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে এসে বিচারের জন্য এলাকার গণ্যমান্যদের শরণাপন্ন হন।
উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে হুমায়ুন কবির ও তার পরিবার। সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগে। বিভিন্নভাবে তারা ওই বিধবা মহিলা ও তার পরিবার পরিজনকে হয়রানি করতে থাকে।
জানা যায়, হুমায়ুন কবির নিরব এর আগেও এলাকায় কয়েকজনকে উত্যক্ত করেছে। তার হীন চরিত্রের জের ধরে ঝগড়াঝাটি হয়ে বছর খানিক আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হয়ে যায়। হুমায়ুন কবির নিরবের একটি সন্তান রয়েছে। উক্ত হুমায়ূন কবির নিরব ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে কার্যসহকারী পদে কর্মরত আছেন। তারা এলাকায় বিত্তশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের অন্যায় অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তারা ঘটনা ঘটিয়ে এলাকার কুচক্রী মহলকে টাকা পয়সা দিয়ে পার পেয়ে যায়। গরীব দুঃস্থ অসহায় লোকজন কোন বিচার পায় না। কোথাও কোন বিচার না পেয়ে ধর্ষণের শিকার ওই বিধবা মহিলা ৮ জুন লালমোহন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী।