কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা দারুসুুন্নাহ মাদ্রাসার নুরানী বিভাগের তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রী ফারিহা আক্তার নামে ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণের নামে ধর্ষন করে হত্যার ঘঠনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টার দিকে। তার পরিবার জানাই,তাকে হ্নীলা বাজার থেকে অপহরন করা হয়েছে। পরিবারের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন ০১৮৪৬৪৫৫৫০৫ থেকে। মুক্তিপণ না দিলে সকালে মেয়ের লাশ পাবে বলে ও জানায়, আসামি এরফান। অপহরণের খবরটি বেশ কয়েকটি স্হানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ঘটনাটি সম্পর্কে র্যাব ১৫ অবগত হয়ে র্যাবের একাধিক আভিযানিক দল ভ্যাকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও আভিযানিক কার্যক্রমের জন্য মাঠে নামে।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ২৮ জুলাই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভ্যাকটিমের লাশ উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত মোহাম্মদ এরফান (১৭) পিতা আলী আহমেদ মাতা মরিয়ম আক্তার সাং পূর্ব পানখালী কে দারুসুন্নাহ মাদ্রাসা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাবের আভিযানিক দল।
র্যাব সদস্যরা আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাধে জানা যায়, সে দারুসুন্নাহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আলী আহাম্মদের ছেলে। ধৃত আসামি ও ভ্যাকটিম ফারীহা খামন জেরিন একই মাদ্রসার শিক্ষার্থী । দুঃ সম্পর্কে তারা মামা ভাগ্নি।
ঘটনার দিন ২৭ জুলাই বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে গেলে আসামি এরফান খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সূ- কৌশলে দারুসুন্নাহ মাদ্রাসায় তার পিতা প্রিন্সিপাল আলী আহাম্মদের অফিস কক্ষে নিয়ে দরজা বন্ধ করে হাত পা বেঁধে তাঁকে ধর্ষণ করে। এতে ভ্যাকটিমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নাইলন দঁড়ি দিয়ে শ্বাসরুধ করে ভ্যাকটিমকে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভ্যাকটিমের পরিহিত কাপড় চোপড় পলিথিনে করে আসামি এরফানের বাসার পাশে একটি নালায় লুকিয়ে রাখে,পরে গভীর রাতে লাশটি গুমের উদ্দেশ্য উক্ত মাদ্রাসার পিছনে একটি নর্দমায় ফেলে চলে আসে।ধৃত আসামী আরো জানায়,সে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অপহরণের ঘঠনা সাঁজিয়ে মুক্তিপণের টাকা দাবী করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনার্থে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব১৫ এর সদস্যরা