• বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় প্রায় ৫ কোটি টাকার সৈকত সড়ক সমুদ্র গর্ভে বিলীন, দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত শুরু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। শ্রীহীন হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা।সমুদ্রে বিলীন হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ও দর্শনীয় স্থান গুলো/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় কেঁচো সার উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভোলার লালমোহনে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংল।। কলাপাড়ায় দুই কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাগাছের ভেলায় ভেসে বানভাসী মানুষের ব্যতিক্রমী সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের বিচার ফাঁসির দাবিতে বাউফলে সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির উদ্দ্যাগে লিফলেট বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

আমতলীতে হঠাৎ করেই উধাও এলপিজি গ্যাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

এস এম নাসির মাহমুদ।। / ১৫৭ পঠিত
আপডেট: রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


এস এম নাসির মাহমুদ, আমতলী (বরগুনা)।।

বরগুনা আমতলীতে হঠাৎ করে সব কোম্পানির তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারের সংকট তৈরি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বাসাবাড়ি, হোটেল, রেস্টুরেন্টেরের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারকারীরা। উপজেলায় বিভিন্ন কোম্পানির এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে গ্রাহকদের চাহিদা মতো গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
আমতলী উপজেলায় বসুন্ধরা, বিএম, ফ্রেশ, ইউনিক, সেনা, দুবাই বাংলা,টোটালসহ বিভিন্ন কোম্পানির এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বাণিজ্যিকভাবে বিপণন হয়ে থাকে। এসব বিভিন্ন কোম্পানির আলাদা আলাদা ডিলার বা এজেন্ট রয়েছে। অথচ গ্রাহকদের চাহিদা মতো এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দেশে গ্যাস সংকট ও ডিপো থেকে সিলিন্ডার সরবরাহ করতে না পারায় গ্রাহকেরা বিপাকে পড়েছেন।
বসুন্ধরা ডিলার মহিউদ্দিন বলেন, প্রতিটি কোম্পানি বিদেশ থেকে এলপি গ্যাস আমদানি সংকটে পড়েছে। ফলে তারা পরিবেশক চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছে না। গত এপ্রিল মাস থেকেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরিবেশকরা দিতে পারছেন না খুচরা ব্যবসায়ীদের। যার চূড়ান্ত বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভোক্তা পর্যায়ে। পরিবেশকরা বলেছেন, সংকট অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে আরও দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।
টোটাল ও দুবাই বাংলা ডিলার রেজাউল করিম বলেন, গত চার মাস ধরে চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ সরবরাহ পাচ্ছিনা কোম্পানি থেকে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। চাহিদার চারভাগের একভাগও সরবরাহ করতে পারেছে না। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সরবরাহ বন্ধ থাকা কোম্পানির ভোক্তারা। তাদের গ্যাস কিনতে হচ্ছে কয়েক গুণ দামে। আগস্টেই দফায় দাম বেড়েছে গ্যাসের। এছাড়া গ্যাসের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যসায়ীদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা বলেন, কয়দিন পর পর দাম বাড়ে, এবার এক লাফে বাড়ছে ৩০০ টাকা। সব পণ্যের দাম বাড়লেও আমাদের উপার্জন বাড়ে না। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
চায়ের দোকানদার আঃ ছালাম বলেন, প্রতিটি সিলিন্ডার আগের চেয়ে ৩ থেকে ৪ শত টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। গরিব মানুষ চা বিক্রি করে সংসার চালাই। গ্যাসের দাম বাড়লেও চায়ের দাম তো বাড়ানো যাচ্ছে না। এভাবে দাম বাড়লে গরিব মানুষ বাঁচব কি করে? এখন তো দেখছি চায়ের দাম না বাড়ালে আমাদের সংসার চালানোই কষ্ট হয়ে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ