কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা সদর ও বাণিজ্যিক এলাকা কোটবাজারে সারি সারি নোহা।এসব নোহার বেশিরভাগ মালিক দৃশ্যমান নয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শতশত সিএনজি-ডাম্পার। এসব সিএনজি বা ডাম্পারগুলোও চলছে উড়োনামে। বেশিরভাগের মালিকের তথ্য নেই সংশ্লিষ্ট সমিতি গুলোর কাছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে এসব নোহা সিএনজি ডাম্বারগুলোর প্রকৃত মালিক হয়তো চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি নয়তো রোহিঙ্গা। এভাবে বছরের পর বছর ধরে চলছে নোহা সিএনজি ও ডাম্পারগুলো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা লক্ষ লক্ষ টাকার গাড়িগুলো পরিচালিত করছে ভিন্ন নামে। সমিতিগুলোও লাভবান হওয়ায় তারা এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সিএনজি চালক জানান,রোহিঙ্গাদের শত শত সিএনজি রোডে চলাচল করছে টোকেন নিয়ে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে সিএনজি গুলো চলাচল করে তা থেকে এককালীন সমিতি গুলো ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পেয়ে থাকে। তাই সমিতিগুলো লাভবান হওয়ায় রোহিঙ্গাদের মালিকানাধীন সিএনজি নিতেই তাদের আগ্রহ বেশি। অপর দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাম্পার মালিকের সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। উপজেলার পালংখালী থেকে কুতুপালং পর্যন্ত যে ডাম্পার গুলো চলাচল করে তার বেশির ভাগ রোহিঙ্গাদের। যদিওবা স্থানীয় রোহিঙ্গা বান্ধব কিছু জনপ্রতিনিধি তাদের এসব ডাম্পার গুলো দেখোশুনা করে। তাই নির্বিঘ্নেই চলছে তাদের অবৈধ ডাম্পার গুলো।
এদিকে উখিয়া সদর ও বাণিজ্যিক এলাকা কোট বাজারে শত শত নোহা টিআরএক্স চলছে নামে-বেনামে। উখিয়া সদর ও কোটবাজারে সারিবদ্ধ করে রাখা বেশির ভাগ গাড়ি চলছে মালীক বিহীন।অন্যদের পরিচালনায়।
বেশ কয়েকজন নোহার মালীক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিত্য নতুন নোহা গাড়ি যোগ হচ্ছে সমিতি গুলোতে। কে কখন কিভাবে আনছে কেউ জানে না। তারা বলেন উখিয়া টেকনাফের অধিকাংশ নোহার মালিক ইয়াবা কারবারী, আপনারা অনেকের নাম খুঁজলেও পাওয়া যাবেনা। কারন বিভিন্ন নোহা চলছে উড়োনামে। অন্যদের পরিচালনায়। কালো টাকা সাদা করতে ইদানিং আরো আরও নিত্যনতুন নোহা যোগ হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমার জানামতে রোহিঙ্গাদের কোন গাড়ি রোডে চলাচল করেনা। যদি রোহিঙ্গাদের কোন মালীকানাধীন গাড়ি রোডে থেকে থাকে সমিতিগুলোর সাথে বসে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।