• শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপে এআই ছবি বানানোর নিয়ম,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এক নজরে দেখে নিন কে কার মুখোমুখি হচ্ছে শেষ ষোলোয়,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ডুন’ পরিচালকের হাত ধরে ফিরছেন জেমস বন্ড,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ইন্দুরকানীতে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে শহীদ হন মনির হোসেন,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আগে স্থানীয় নির্বাচন দরকার, বললেন নুর,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বহুতল ভবন নয়, দীর্ঘশ্বাসের স্তূপ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এবার দক্ষিণ লেবানলে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


কক্সবাজারে বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে চলেছে দূষিত ‘জার পানি’ রমরমা বানিজ্য/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন,কক্সবাজার থেকে। / ১৯১ পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ আমিন।।

কক্সবাজার শহরে হাত বাড়ালেই মিলছে মানহীন মিনারেল ওয়াটার (বিশুদ্ধ পানি)। আর যারা এগুলো উৎপাদন করছে তাদের বেশিরভাগ কারখানারই নেই বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনিস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন। অলিতে গলিতে অনুমোদহীন কারখানার ছড়াছড়ি থাকলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা সরকারি দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো। বিএসটিআই’র ভুয়া লোগো ব্যবহার করে অনেকে ময়লা পানি বাজারজাত করছে। ফলে টাকা দিয়ে কিনে সেই পানি পান করে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ভোক্তারা। অভিযোগ উঠছে বিএসআিই’র কতিপয় অসৎ কর্মকর্তার যোগসাজসে এসব অপ-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে একশ্রেণির লোভী ব্যাবসায়ী। জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত বিশুদ্ধ পানি।শহর জুড়ে এই বিশুদ্ধ খাবার পানির প্রবল সংকটকে কাজে লাগিয়ে রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে অনেক অসাধু ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানা মালিক।জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে তোয়াক্কা না করে দূষিত খাবার পানি সরবরাহ করছে তারা শহর জুড়ে।কারখানা গুলো বিশুদ্ধ পানির নাম করে দূষিত ও জীবাণুযুক্ত পানি জারে ভরছে।জারের গায়ে নকল স্টিকার লাগিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছে শহরবাসীর কাছে। এসব পানি পান করে শহরের পানিবাহিত নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।চরম হুমকির মুখে পড়ছে পর্যটক নগরী কক্সবাজারের শহরেন জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা।এদিকে দূষিত পানির অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়সারা ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে কিন্তু শাস্তিমূলক ও জরিমানার আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে দুষিত জার পানির ব্যবসা।শহরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি নিয়ন্ত্রণ ও বণ্টনে ড্রিংকিং কারখানাগুলোর দেখভাল করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)কক্সবাজার জেলা শাখা। পানি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মান যাচাইয়ে শর্ত হিসেবে বিএসটিআই’র পক্ষ থেকে রয়েছে ৩০ ধরনের পরীক্ষা পদ্ধতি। এসব পদ্ধতি নিশ্চিত হওয়ার পর পানি বাজারজাতকরণের অনুমতি দেয় রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি।তবে তার ভিন্ন রুপ টাকা লেনদেন নগদ টাকায় যেন সব অবৈধ নিমিষেই হয় বৈধ। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি বাজারজাতকরণের কারখানায় রসায়নবিদ, কর্মীর সুস্বাস্থ্যের সনদ ও ল্যাব থাকার কথা। এসব মান বজায় না রেখে অবৈধভাবে পানি উৎপাদনের দায়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার শহরে মোহাজের পাড়া এলাকায় ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বেঙ্গল ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানায়। এছাড়া শহরজুড়ে আরো ১০টি মতো কারখানার থাকলেও তারা ঠিকটাক নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা এই পানির ব্যবসা।বিএসটিআই সূত্র জানাযায় নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।কক্সবাজার জেলা বিএসটিআই অফিসের প্রধান উপ-পরিচালক (মেট্রোলজি) মিঞা মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে বিএসটিআই স্বীকৃতপ্রাপ্ত ড্রিংকিং কারখানাগুলো। এসব কারখানার আদলে অনেক ভেজাল কারখানায় বিশুদ্ধ পানির নামে দূষিত পানি বিক্রি করছে অসাধু কতিপয় ব্যবসায়ীরা তাদের বিরুদ্ধে ভেজালবিরোধী অভিযান আজ দুইটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেছেন বলে জানান তিনি।তবে শহরজুড়ে ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানা অনুমোদন রযেছে কিনা মোট কত কারখানা রযেছে সে বিষয়ে তার কোন ধারণা নেই তিনি কিছুই জানেনা বলেন।স্থানীয় লোকজনরা বলেন এসব লোভ দেখানো অভিযান টাকা হাতে পেলেই অবৈধ কারখানা বৈধ হয়ে যায় বর্তমান বিএসটিআইয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে,অভিযান কোন প্রতিষ্ঠানের জরিমানা কিংবা শান্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হয়নি বিষয়টি দেখে ভাবিয়ে তুলেছে উপস্থিতি স্থানীয়দের। শহরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে,নামে-বেনামে নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত সব মিলিয়ে প্রায় ১০থেকে১২ টি খাওয়ার পানির কারখানা রয়েছে।গোলদিঘি পাড় ফ্রেশ লাইফ ড্রিংকিং ওয়াটার,পেশকার পাড়া মদিনা ড্রিংকিং ওয়াটার,টেকপাড়া(জড়)ড্রিং কিং ওয়াটার,পাহাড়তলী ইসলামপুর এলাকায় আপন ড্রিংকিং ওয়াটার,পাহাড় তলী কচ্ছপিয়া দ্যা-রেইন ড্রিংকিং ওয়াটার, পিটিআই স্কুল হিমছড়ি ড্রিংকিং ওয়াটার, আলিরজাঁহাল দারুচিনি ড্রিংকিং ওয়াটার,রাবার ড্রাম প্রিন্স ড্রিংকিং ওয়াটার,৬নং ঘাট গাড়ির মাঠ নীলগিরি ড্রিংকিং ওয়াটার,বিজিবি ক্যাম্প রিয়েল কক্স ড্রিংকিং ওয়াটার, এসব কারখানা থেকে জারের পানি শহরের বাসাবাড়ি, দোকান-হোটেল,সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতে সরবরাহ করা হচ্ছে। শহরবাসী এসব পানি টাকা দিয়ে কিনে বিশুদ্ধ মনে করে কোনো ধরনের প্রশ্ন ছাড়াই পান করছে। তারা জানে না এসব পানি উৎপাদনে বিএসটিআই অর্পিত কোনো মান বজায় রাখা হচ্ছে কিনা।
হাসপাতাল সড়ক এলাকার খোরশেদ আলম নামে এক হোটেল মালিক বলেন, জারের পানি টাকা দিয়ে কিনে খাই। তবে কোথাকার পানি কোথায় তৈরি হয় জানিনা অস্বাস্থ্যকর হলে নিশ্চয়ই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন বিএসটিআইয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারণ দিব্যি ব্যবসা করে পার পেয়ে যাচ্ছেএই সিন্ডিকেট চক্র।শহর জুড়ে অচিরেই গড়ে উঠা ওয়াটার কারখানায় সরেজমিন গিয়ে জারের পানি উৎপাদনের মান যাচাই করে দেখার চেষ্টা করেন এ প্রতিবেদক।
তাতে দেখা যায়, কারখানাগুলো থেকে হাজার হাজার পানির জার পৌঁছে যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি, দোকানপাটওঅফিস-আদালতে। কাস্টমার পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার জন্য নিযুক্ত রয়েছে কারখানাগুলোর ডিলার। বিশুদ্ধ পানি কারখানা থেকে কাস্টমার পর্যন্ত পৌঁছে দিতে কারখানা আর ডিলাররা বেছে নিচ্ছে অসাধু পথ। তোয়াক্কা করছে না আইনি কোনো নির্দেশনা কারখানাগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, বিএসটিআইর কোনো নির্দেশনা। কোনো ধরনের সাইনবোর্ড ছাড়াই কারখানা নোংরা পরিবেশে রিফাইন ছাড়াই জীবাণুযুক্ত পানি ভরে প্রতি জার ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছে। কারখানাটিতে শুধু ডিপ থেকে পানি তুলে কোনো প্রকার শোধন ছাড়াই জারে ভরে ডেলিভারি দিচ্ছে। বিষয়টি অস্বীকার করে কারখানাটির ম্যানেজার। কারখানাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ- বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।এদিকে বিএসটিআইয়ের তথ্য অনুসারে ২০ লিটারের একটি জারের পানি মোটামুটি মান বজায় রেখে রিফাইন করতে খরচ পড়ে ৩০ টাকা। অথচ এসব স্বচ্ছ ড্রিংকিং ওয়াটার বেনামে গড়ে ওঠা ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানাগুলো নলকূপের পানিভর্তি প্রতি জার বিক্রি করছে তবে এসব দেখেও না দেখার ভান করে চেয়ারের বসে আছে বিএসটিআইয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা কারণ কি এমন প্রশ্ন ঘোরপ্যাঁচ জনমনে।শহরের ওয়াটার কারখানার একজন মালিক জানান শহরের কারখানার লাইসেন্স নেই। যার যার মতো ব্যবসা করছে বিএসটিআই কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে।পানির বিশুদ্ধতার স্ট্রিকারে পানির মূল্য ও উৎপাদন, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকার বিষয়ে জানাতে চাইলে কক্সবাজার জেলা অফিসের প্রধান উপপরিচালক (মেট্রোলজি) মিঞা   মোঃ আশরাফুল আলম কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ