নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার ৫ নং শাখারীকাঠী ইউনিয়নের বাঘাজোড়া গ্রামের অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কে কেন্দ্র করে, প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদ ভাঙ্গনের কবলে এ যেন দেখার কেহ নাই।
সরেজমিনে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে পারেন, বাঘাজোড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ মোহাম্মদ দেলোয়ার, জিয়াউর রহমান, মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং নূর মোহাম্মদ মল্লিক বলেন, দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবৎ তারা বেড়িবাদের পাশ ঘেঁষে ভাঙ্গলের পাড় থেকে বালু উত্তোলন করে আসছেন। এই বিষয় নিয়ে সাধারণ জনগণ বাধাঁ দিতে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিরা তাদের পেশী শক্তির বলে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তারা বলে যে, সরকারি জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করি আমরা বালুমহাল ইজারা নিয়েছি তোমাদের কি?
এ বিষয় নিয়ে ভু্ক্তভোগী জনগণ আরও বলেন, আমরা ভূমি অফিসে গেলে জানতে পারি বাঘাজোড়া বালু মহাল ইজারা দরপত্র অনুযায়ী, ০১,০৪,০৫,০৮, ১৮,১৯,৮৭ও ৮৮নং দাগে ৭.১৬ একর উল্লেখ থাকলে ও এই দাগের জমি সম্পূর্ণ বাঁঘাজোড়া গ্রামের মাটিভাংগার পাশ ঘেঁষে চরঅঞ্চল থাকা সত্বেও সেখানে বালু উত্তোলন না করে বাঘাজোড়া গ্রামের ভাঙ্গলের পাশ ঘেঁষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। কিন্তু দাগ নাম্বার উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও দাগ নাম্বার অনুযায়ী সেই চরে বালু উত্তোলন করছে না।
ভূমি অফিস কর্মকর্তারা মাঠ জরিপ করতে গেলে ওই ভূমি অফিসে কর্মরত মাসুম অফিসারদের ঘুরিয়ে পেঁছিয়ে দাগ নাম্বার ভুল দেখিয়ে ভাইজোড়াকে বাঘাজোড়া বলে এবং চরাঞ্চলকে বাদ দিয়ে ভাঙ্গলের পাড় দেখিয়ে দেয়। ভুমি অফিসে কর্মরত মাসুমের ভাই বালু মহালের ইজারার চারের (০৪) একাংশ হওয়ায় মাসুম ভূমি কর্মকর্তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে আসছেন বলে একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
উক্ত বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীগণ নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সঞ্জীব দাস কে মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বললে আমি এ বিষয়ে অবগত আছি, আমি দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে গণমাধ্যমকে জানান।