মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট(দিনাজপুর) প্রতিনিধি।।
দিনাজপুর ঘোড়াঘাটের হত্যা ও একাধিক মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী কুখ্যাত মাদক সম্রাট শাহ আলমকে (বস্তা আলম) গ্রেফতার করেছে ঘোঘাঘাট থানা পুলিশ।
৯ অক্টোবর সোমবার দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাট থানার ্অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদের নির্দেশে এস আই আঃ ওয়াহাব সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলার নুরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাদক মামলায় ওয়ারেন্টমুলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শাহ আলম ওরফে বস্তা আলম ঘোড়াঘাট উপজেলার নুরপুর গ্রামের মৃত– আঃ রাজ্জাকের পুত্র।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, যারা মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত তাদের বিষয়ে বিশেষ অভিযান চলছে। জেলা পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে আমরা, তাদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছি এবং গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল।,আমাদের এই অভিযানের অংশ হিসেবে তাকে গেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃতকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে মাদক সম্রাট শাহ আলমের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ৩নং সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর ও দিনাজপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়,ঘোড়াঘাট উপজেলার নুরপুর গ্রামের মৃত– আঃ রাজ্জাকের পুত্র মোঃ শাহ আলম ওরফে বস্তা আলম। সে বিগত দীর্ঘ বছর যাবত মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে।সে ঘরে বসে থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক বনে যায়। সে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মাদকের লেনদেন করে থাকে। তার দুইটি বাড়ী রয়েছে। এক বাড়ীতে মাদকের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছে।সেখানে সে মাদক জমা রেখে অন্য বাড়িতে মাদক বিক্রয় করে। এমন কি সে ব্যাগে করে বাসা বাড়ি, হাটবাজারে দোকানে ও রাস্তায় রাস্তায় ফেরি করে নেশা জাতীয় মাদক দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল, গাঁজা, বিক্রি করে থাকে। এতে করে উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র তথা ব্যবসা কেন্দ্র রাণীগঞ্জ বাজার সহ অত্র এলাকার নুরপুর,দেবীপুর ও কশিগাড়ী গ্রামের ছোট ছোট ছেলে শিশু, কিশোর, শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সের যুবকদের মাদকের ছোবলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তার বাসায় রাত্রে অনেক লোকের চলা ফেরা করতে দেখা যায়। এই অবৈধ ব্যবসা করে টাকার কুমির বনে গেছে। গ্রামের মানুষ তথা সমাজের কোন মানুষকে সে মূল্যায়ন করে না। শাহ আলম একাধিক মাদক মামলার আসামী।
এছাড়াও সে এক জন হত্যা মামলারও আসামীও বটে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বার বার সে মাদক মামলায় ধরা খেয়ে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও বীর দর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যায়।