কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সরকারি মোজার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেনীর প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী দিয়েছে শারিরীক প্রতিবন্ধী মেধাবী শিক্ষার্থী হাফিজা আক্তার। এর আগে পি এস সি,জে এস সি ও এইচ এস সিতে করেছে ভালো ফলাফল। বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্যেষন প্রতিযোগীতায় প্রতিবন্ধী কোটায় অংশ নিয়ে জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছেন। এত সাফল্লের পরেও স্বস্তি নেই হাফিজার মনে।
তার মা পারুল বেগম জানান,ছোট সময় থেকেই তার মেয়ের দুটো পা বাঁকানো। তাই স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। বেশির ভাগ সময়ই অন্যের সহযোগিতা নিয়ে চলতে হয় হাফিজা কে। এরই মধ্যে তার শরীরে আবারও নতুন রোগের দেখা দিয়েছে। পায়ে প্রচুর ব্যাথা হয়। শিরা গুলো টান ধরে,এ কারনে শরীর অবস হয়ে হঠাৎ বসে পড়তে হয় তাকে। আস্তে আস্তে করে হাতের আঙ্গুল গুলো বাকিয়ে আসছে। স্থানীয় ডাক্তার দেখালে তারা পরামর্শ দিয়েছেন উন্নত চিকিৎসার। কিন্তু অর্থ সংকটে অন্যত্র নিয়ে মেয়েকে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না পরিবারটির।
হাফিজা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পৌর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমান এর মেয়ে। সে পেশায় একজন দিনমজুর। নিজস্ব জমি না থাকায় পানিউন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বসবাস করেন। কাজ করেন কাঠ চেরাই মিলে। মেয়ের চিকৎসা দূরে থাক সামন্য আয়ে সংসার চালানোই তার কষ্ট। এরপর মেয়েকে এস এস সি পাশ করিয়ে ভর্তি করিয়েছেন কলেজে। ভাবছেন মেয়েকে আর লেখা পড়া করাবেন না। কিন্তু মেয়ের অদম্য ইচ্ছার কাছে হারমানতে হয় তাকে। তাই বাধ্যহয়েই কোনমতে চালাচ্ছেন সবকিছু।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হাফিজার একটি আবেদন পেয়েছি। আমরা সরকারী একটি সহযোগীতা দেওয়ার চেষ্টা করব। এছড়াও যেহেতু হাফিজা মেধাবী শিক্ষার্থী তাই সমাজের বিত্তবান যারা আছে তারা এগিয়ে আসলে হাফিজা লেখাপড়া শিখে স্বাবলম্বী হতে পারবে।
বিদ্রঃ হাফিজাকে সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করুন হাফিজার মা পারুল বেগমের পার্সোনাল বিকাশ নম্বরে ০১৭৪৫-০৫৬৬৭০।