মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের চর শিমুলিয়া এলাকায় শিপইয়ার্ড সংলগ্ন নদীতে থেমে থাকা একটি ট্রলার থেকে দেশীয় অস্ত্র ও পুরাতন ফার্নিচার উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গজারিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এলাকায় বাড়িঘর লুটপাট ও নয়ন–পিয়াস পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের একপর্যায়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ চর শিমুলিয়া গ্রামে যায়। সেখানে শিপইয়ার্ডের পাশে নদীতে দুটি লাইটার জাহাজের মাঝখানে একটি ট্রলার দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, ট্রলারটিতে পুরাতন কিছু ফার্নিচার থাকায় সন্দেহ হলে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ট্রলার থেকে দুটি ছোট দা, একটি বগি দা, দুটি পুরাতন শোকেস, একটি প্লাস্টিকের আলমারি ও একটি স্টিলের ছোট আলমারি উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশের ধারণা, উদ্ধার করা জিনিসগুলো নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যদের হতে পারে।
এদিকে উদ্ধার হওয়া মালামালের মালিকানা দাবি করে স্থানীয় এক নারী পিংকি আক্তার বলেন, “এই মালামালগুলো মূলত নৌ দুর্ঘটনায় নিহত পিয়াসের বড় ভাই ওয়াদুদ বেপারীর। সম্প্রতি জিতু বাহিনীর লোকজন এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমি ঘরের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছিলাম। সোমবার রাতে জিতু বাহিনীর লোকজন ওয়াদুদ বেপারীর ঘর লুট করে মালামালগুলো ট্রলারে তোলে। সম্ভবত সরানোর আগেই তারা ফেলে পালিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “মালামালের সঙ্গে থাকা দেশীয় অস্ত্র প্রমাণ করে, সন্ত্রাসীরা আশপাশেই ছিল, কিন্তু পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।”
অপরপক্ষ জিয়াউল হক জিতু রাঢ়ির বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলম বলেন, “পুরাতন ফার্নিচার ও দেশীয় অস্ত্রগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো কার, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। গুয়াগাছিয়া এলাকা থেকে সম্প্রতি নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাই প্রতিটি বিষয় সতর্কতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”