মারা যাওয়ার ১১ ঘন্টায়ও মা ছাড়া ভাই-বোন, স্বজন ও গ্রামবাসীর কেউ দেখতে আসেনি সুশান্ত কর্মকারকে।এগিয়ে আসেনি সৎকারে অংশ নিতেও।লাশের পাশে মা গঙ্গা রানি কর্মকার আহাজারি আর আর্তনাদ করে যাচ্ছিলেন। ফোনে অন্য সন্তান,স্বজন আর গ্রামবাসীকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছিলেন।কিন্তু এতটুকু গলেনি মানবতা।কেউই এমনকি সুশান্তর বড় ভাই, চার বোন ও বোনের পরিবারের সদস্যরাও ফিরে তাকাননি।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সুশান্ত কর্মকার বুধবার বিকেলে মারা যায় পা ফোলা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে।তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কলারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।কেউ এগিয়ে না আসায় হাসপাতাল থেকে লাশ নেয়া ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিয়ে বিপাকে পড়েন গঙ্গা রানি কর্মকার ও স্থানীয় প্রশাসন। শরীয়তপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজন পাল উদ্যোগ নিলেও প্রথমে দাহ করার কাজে যুক্ত হতে রাজি হয়নি স্থানীয় কেউ।পরে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের অনুরোধে ভেদরগঞ্জ উপজেলার দুই যুবক ও নড়িয়া উপজেলার অন্য ইউনিয়নের তিন যুবক দাহ কাজ করতে রাজি হন। অবশেষে মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সত্য নারায়ণের সেবা মন্দিরে তার সৎকার সম্পন্ন হয়।
You cannot copy content of this page