• বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় প্রায় ৫ কোটি টাকার সৈকত সড়ক সমুদ্র গর্ভে বিলীন, দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত শুরু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। শ্রীহীন হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা।সমুদ্রে বিলীন হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ও দর্শনীয় স্থান গুলো/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাপাড়ায় কেঁচো সার উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভোলার লালমোহনে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কুয়াকাটায় কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংল।। কলাপাড়ায় দুই কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। কলাগাছের ভেলায় ভেসে বানভাসী মানুষের ব্যতিক্রমী সংবাদ সম্মেলন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের বিচার ফাঁসির দাবিতে বাউফলে সাংবাদিকদের মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির উদ্দ্যাগে লিফলেট বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

চলো যায় যুদ্ধে, মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

রিপোর্টার: / ১১৫ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


হুসাইন কবির।।

সর্বনাশা নেশার চোরাস্রোতে তলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের তরুণ সমাজ। মাদকাসক্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা, কিন্তু সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কাঞ্চনপুর ব্লাড ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে জ এক র‍্যালি অনুষ্ঠান করা হয়, অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন কাঞ্চনপুর ব্লাড ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা মোঃ শাহাদাত, এবং ফাউন্ডেশনের সদস্যগণ,
মাদকের কারণে এ দেশের বহু পরিবার ধ্বংস হচ্ছে। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগে ঐশী নামের এক ১৯ বছর বয়সী কন্যা তার বাবা মাহফুজুর রহমান ও তার মা স্বপ্না বেগমকে নিজ বাসায় কুপিয়ে হত্যা করে। পরে জানা যায়, ঐশী মাদকাসক্ত ছিল।
আমাদের দেশে মাদক একটি সামাজিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। তার চেয়েও সমস্যা হলো, এটি আমাদের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। মাদকবিরোধী সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর অবৈধভাবে মাদক আমদানির জন্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি মুদ্রা পাচার হয়। আমাদের দেশে আনুমানিক ৩৩ রকমের মাদকের খোঁজ পাওয়া যায়। একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতা মাদক কারবারিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ভারত ও মিয়ানমার থেকে নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট মাদকাসক্তের ৯০ শতাংশ কিশোর, যুবক ও ছাত্রছাত্রী। যাদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ ধূমপায়ী ও ৪৪ শতাংশ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো মাদকদ্রব্য গ্রহণ, মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। মাদকদ্রব্য সেবনে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মাদকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সরকার এবং সচেতন নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা মাদক গ্রহণ করে, মাদক পাচার ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাদের তালিকা করে সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। মাদক বন্ধে প্রশাসনকে যথাযথ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
মাদক বন্ধে এর উৎপাদন ও সরবরাহকারীদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও মাদকের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সীমান্তসহ মাদক প্রবেশের যে স্থানগুলো রয়েছে, তা বন্ধ করতে হবে। দেশে তামাক চাষ বন্ধ করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ