চাঁদপুর প্রতিনিধি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলায় শহরের কোড়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বাবু এখন কারাগারে। তিনি আগামী ১০ অক্টোবর, চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে উটপাখি মার্কায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং বেশ কিছুদনি নিজেকে জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আসছেন।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের ষোলঘর এলাকার বাসিন্দা এক গৃহবধূর দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় গত ২ সেপ্টেম্বর জামিন নিতে আদালতে হাজির হন আলমগীর। জামিন নামঞ্জুর করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শফিউল আযম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব চন্দ্র নাহা।মামলার তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে প্লট নং-এ/১৬৫ এর দোকানটির মালিক হাজী ছিদ্দিকুর রহমানের থেকে ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তিন বছরের জন্য মাসিক ভাড়ায় নিয়ে কোকারিজের ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকেন আলমগীর।কিন্তু নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ না করায় মালিক আলমগীরকে দোকান ছেড়ে দিতে বলেন। আলমগীর দোকান ছাড়তে না চাইলে চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত দোকানের মালিক অপেক্ষা করেন।কিন্তু মেয়াদ অতিক্রমের পরেও আলমগীর দোকান ছাড়তে নানা টালবাহানা শুরু করেন।বিষয়টি মার্কেট কমিটির কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তাদের অনুরোধে পরবর্তীতে আরও দুই বছরের জন্য আলমগীরকে পুনরায় ভাড়ার মেয়াদ বাড়াতে মালিক রাজি হন। এক পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও আলমগীর দোকান ছেড়ে না দিয়ে ফের প্রভাব খাটানো শুরু করেন। এমন পরিস্থিতিতে মার্কেট কমিটি পদক্ষেপ নিলে, উপায়ন্তর না পেয়ে আলমগীর হোসেন ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারিতে, মালামাল নিয়ে দোকান ছেড়ে চলে যান। পরে মার্কেট কমিটির কর্মকর্তারা দোকানে তালা লাগিয়ে দেন। দোকান হাতছাড়া হওয়ার পর মার্কেট কমিটি ও দোকান মালিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে মালিককে দোকান দখলে বাধা দেন আলমগীর।ইতোমধ্যে ওই দোকানের মালিক মারা যান। ওই দোকান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে তার ৪ সন্তানের (মামলার সাক্ষী) নামে নামজারি করে নিয়ে আসা হয়। এরইমধ্যে মামলার বাদী এবং তার পরিবারের সব সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন আলমগীর।ইতোমধ্যে ওই দোকানের মালিক মারা যান। ওই দোকান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে তার ৪ সন্তানের (মামলার সাক্ষী) নামে নামজারি করে নিয়ে আসা হয়। এরইমধ্যে মামলার বাদী এবং তার পরিবারের সব সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন আলমগীর। তিনি প্রভাব খাটিয়ে বাদীকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করতে থাকেন। এতেও কার্যসিদ্ধি না হলে বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আলমগীর। এই টাকা না পেলে বাদী ও সন্তানদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকেন তিনি। মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে আলগমীরের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাদী বিধবা গৃহবধূ। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল হান্নান কাজী বাংলানিউজকে জানান, মামলাটির ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়া সত্ত্বেও আলমগীর হোসেন পলাতক ছিলেন। পলাতক থাকা অবস্থায় ২ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন, বলে জানা যায়।
You cannot copy content of this page