হাবিবুর রহমান,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নে এক পরিবারের জমি দখল করে প্রভাবশালীর দোকান নির্মাণ অভিযোগ
লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্ত্রাসী দিয়ে এক পরিবারের জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর ও দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের চর বসু বাদামতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী পরিবারটির অভিযোগ, এ বিষয়ে বারবার উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পায়নি। এ সুযোগে প্রভাবশালীরা সন্ত্রাসীদের দিয়ে জমিনের ঘর খুলে নিয়ে যায় এবং জমি দখল, সীমানা প্রাচীর ও দোকানপাট নির্মাণ করে।
বাদামতলী বাজার এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে আব্দুর রহমান ও আলী হোসেন জানান, তিনি ক্রয় সূত্রে রিভিশন ৩৯৫ দাগে ৩৭০ খতিয়ান নং এ ০২ শতাংশ জমির মালিক হয়ে ভোগদখলে আছেন। কিন্তু তাদের কেনা জমির মালিক হিসেবে দাবি করছেন একই এলাকার সায়েদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আলী এবং শহেদ আলীর ছেলে তারেক ও আব্দুল গনি।এই জমিটি নিয়ে লক্ষীপুর আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা আদেশ দেন এবং ওই আদেশ বহাল রয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত কয়েকদিন আগে মোহাম্মদ আলী একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে সশস্ত্র অবস্থায় দাঁড় করিয়ে প্রথমে বালু ভরাট শুরু করেন। পরে সিমেন্টের পিলার দিয়ে সীমানা প্রাচীর ও দোকানপাট নির্মাণ করেন মোহাম্মদ আলী এবং তারেক, আবদুল গনি,আবুল কাশেম ও তাঁর ছেলে এবং আত্মীয়-স্বজন দিয়ে রাতের অন্ধকারে এই জায়গা টি দখল করে নেয়।
আব্দুল হামিদের ভাই হারুনুর রশিদ বলেন তারা জবরদখলের শুরু থেকেই উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে বারবার লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি। প্রশাসনকে উপেক্ষা করে দখলের কাজ এখনও চলছে। দখলে বাধা দিলে তাঁকে আমার ভাই এবং ভাই এর বেটা ও আমার পরিবারের সদস্যদের সন্ত্রাসীরা হত্যার হুমকি দেয়। এবং আমার ভাইয়েরা অসহায় ও নিরীহ বলে এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাঁর পৈতৃক জমিতে দোকানপাট ও বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছেন, অন্য কারও কেনা জমিতে নয়। আব্দুর রহমান ও আলী হোসেন, প্রভাব খাটিয়ে তাদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অন্যান্য অভিযোগও মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন তিনি।