নিজস্ব প্রতিবেদক ।
আমরা কেউ সম্প্রদায় নই, সবাই নাগরিক: সালাহউদ্দিন আহমদ
বাংলাদেশে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন নয়, নাগরিক পরিচয়ই সর্বাগ্রে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ তাঁর নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে চর্চা করবেন, তবে পরিচয় হবে নাগরিক হিসেবে, সম্প্রদায় নয়।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। রোববার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতার পর সোমবার পালিত হয় সপ্তমী। ওইদিন রাতেই পুণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বিএনপির ধর্মবিষয়ক অবস্থানও তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, বিএনপির নীতি পরিষ্কার—“ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার; ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারও সবার।” এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও বলেন, “আমরা কেউ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বা পাহাড়ি সম্প্রদায় হিসেবে আলাদা নই; আমরা সবাই নাগরিক। এভাবেই আমাদের রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে হবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার নানা চেষ্টা চলছে। তবে জনগণ ভোটের অধিকার রক্ষায় সচেতন এবং যারা এ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। তাঁর দাবি, দেশে এখন নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করছে, মানুষ গণসংযোগে নেমে পড়েছে, তাই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।
সালাহউদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই হয়েছে। অসুরের বিদায় ঘটেছে, তবে এখনো তা পুরোপুরি বিনাশ হয়নি। তাই শান্তি, সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। তিনি আশ্বাস দেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যৌক্তিক দাবি বিএনপির নির্বাচনি ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। দেবোত্তর ও অর্পিত সম্পত্তির সুরক্ষা, সংখ্যালঘু কমিশন ও ফাউন্ডেশন গঠনের বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কখনো ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার করতে চায় না। নাগরিক অধিকারই হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। সংবিধান অনুযায়ী ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য নেই এবং সেটিই বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ সময় ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর