
মোঃ শাহাবুদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার ঃপটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেয়ার নামে চলছে অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত ফি আদায়। করোনা মহামারী এই পরিস্থিতিতে ২০২০ইং শিক্ষাবর্ষের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার ধারা পূর্ণ বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট তৈরি করতে হয়।
সেই অ্যাসাইনমেন্ট গুলো শিক্ষার্থীদের বাসায় বসে লিখতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা নিজের হাতে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি না করে অন্যের সহযোগিতা নিয়ে এসাইনমেন্ট তৈরি করে থাকে। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হয়। করোনা মহামারীতে মানুষ যখন কর্মহীন ও বেকার হয়ে পড়েছে এই সুযোগে কর্মহীন অভিভাবকদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত ফি।
যা বর্তমান সময় অভিভাবকদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় যে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। নাম না বলার স্বার্থে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, যে আমাদের কাছ থেকে শিক্ষকরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে জমা দিতে হবে বলে আমাদের জানান। টাকা না দিলে অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়া হবে না বলে জানান অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা।
এছাড়াও অভিবাবকরা বলেন করোনা মহামারি ভাইরাসের কারণে আমাদের ইনকাম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা কোন মতে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন কাটাই।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকায় আমরা অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি । আবার শিক্ষকরা আমাদের ছেলে মেয়েদের পরীক্ষার অ্যাসাইনমেন্ট লিখে জমা দিতে হবে। সে কারণে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করে নেয়া হচ্ছে । টাকা না দিতে পারলে আমাদের ছেলে মেয়েদের খাতা জমা নেয়া হবে না, তারা অন্য ক্লাসে ভর্তি হতে পারবেনা বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন ।
বাধ্য হয়ে আমাদের টাকা দিতে হচ্ছে, এ ব্যাপারে আমাদের দাবি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।