লালমোহন প্রতিনিধি।।ভোলার লালমোহনে পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়া ও তা আত্মসাতের অপচেষ্টায় লালমোহন উপজেলাধীন ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ হোসেন মুরাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে সম্মানহাণীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোঃ মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি।
২৭ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে লালমোহন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ মোস্তফা বলেন, গত ২০১২ সালে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড কিশোরগঞ্জ এলাকার মৃত আঃ রশিদের ছেলে মোঃ আবুল কালামের কাছ থেকে জমি ক্রয়ের জন্য দেড় লক্ষ টাকা দেন তিনি। দীর্ঘ কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও ওই জমি বুঝিয়ে দেয়নি। এমনকি টাকাও ফেরত দেয়নি আবুল কালাম। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার শালিস পরবর্তী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বশার সেলিম ও থানার দ্বারস্থ হন মোঃ মোস্তফা।
পরে থানার মাধ্যমে বসা শালিস আবুল কালাম কে ১ লক্ষ ৭০হাজার টাকা ফেরতের আদেশ দেয়। তখন ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধে ২ মাস সময় নিয়ে দুই বছর পেরিয়ে গেলেও টাকা পরিশোধ করেনি আবুল কালাম। এনিয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ হোসেন মুরাদের কাছে বিচার দিলে তিনি আবুল কালামকে ফয়সালায় বসতে বলেন।
কিন্তু নিজের অপরাধ জেনে ফয়সালাকে বিলম্বিত করে আমার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গত ২২ জানুয়ারি শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে আবুল কালাম ও তার মেয়েরা সংবাদ সম্মেলন করে।
এসময় ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের বিরুদ্ধে তোলা মিথ্যে অভিযোগের তিব্র নিন্দা জানিয়ে নিজের টাকা ফেরত পেতে আবুল কালামের বিচার দাবি করেন মোঃ মোস্তফা। ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ জানান ইউপি সদস্য সেন্টু সহ অন্যান্য ইউপি সদস্য ও এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন।
You cannot copy content of this page