নিজস্ব প্রতিবেদকঃএকজন প্রজ্ঞাশীল ব্যক্তিত্ব, স্বল্পভাষী ও সৎ আদর্শের প্রতিকৃতি হয়ে শিক্ষক এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা. মোঃ নুরুল ইসলাম (বিএসসি গনিত)। তাঁর গ্ৰামের বাড়ি রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে । একজন দক্ষ শিক্ষক ও চিকিৎসক হিসেবে ইতিমধ্যে জীবনের অনেকটা সময় পার করে এসেছেন তিনি।শুধু মাত্র চিকিৎসা ক্ষেত্রে সেবা দিয়ে নয় অবদান রেখেছেন জাতির অগ্রগতি সাধনে মানুষ তৈরীর একজন কারিগর হিসেবে। বর্তমানে তিনি
বরিশাল সদর উপজেলার ৬ নং জাগুয়া ইউনিয়নের মহাম্মদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০ বছর যাবত শিক্ষকতা করে আসছেন । তাঁর পিতা মোঃ আঃ রশিদ হাওলাদার একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন সে শিক্ষকতার পাশাপাশি জীবদ্দশায় ৬০ বছর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মানুষের সেবা দিয়েছেন। বাবার আদর্শ অনুসরণ করে মোঃ নুরুল ইসলাম শিক্ষকতার পাশাপাশি ২০১১ সাল ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথ ও সার্জারি বিভাগে অধ্যায়ন করে এ ভর্তি হয়ে ২০১৫ সালে সনদপ্রাপ্ত হন।
পরবর্তীতে মানুষের পাশে থেকে সেবা প্রদানের জন্য তিনি
বরিশাল নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের কালিজিরা বাজারের পাথরখোলা এলাকায় নূর হোমিও ফার্মেসী নামে একটি চেম্বার খুলে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সুনাম তিনি কুড়িয়েছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে বলা যায় অনেক জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে তিনি রোগীকে সুস্থ করে তুলেছেন। এছাড়াও সরজমিননে গিয়ে দুঃস্থ ও অসহায় কেউ চিকিৎসা গ্রহন করতে আসলে তাদেরকে ফ্রি চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে তাকে।
চিকিৎসা নিতে আ: সালাম নামের একজন বলেন ডা. মোঃ নুরুল ইসলাম একজন স্বল্পভাষী মানুষ।আমি আজ তিন থেকে চার বছর বিভিন্ন রোগের কারনে মাঝে মাঝে তার কাছে আসি।আমি তার সেবার খুবই সন্তুষ্ট। সৃষ্টিকর্তার কাছে তার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
এ বিষয়ে ডা. মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, মানব সেবা করতে নিজেকে প্রস্তুুত করছি। মানুষের আশির্বাদ আর ভালোবাসাই নিয়ে শিক্ষকতা ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি! কর্মময় জীবনে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছি।
তিনি আরো বলেন, কয়েকটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবনের মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেমও বৃদ্ধি করা যায়। সবচেয়ে বড় কথা, হোমিওপ্যাথির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফলে চিকিৎসায় সুফল না এলেও ক্ষতির আশঙ্কা শূন্য। হোমিওপ্যাথি ওষুধের মূল্যও সাধারণের হাতের নাগালে। যারা আগ্রহী হন তাদেরকেই আমি ওষুধ দিয়ে থাকি এবং বেশিরভাব মানুষই উপকার পেয়ে থাকেন বলেই তারা আমার কাছে আবারো আসেন। এদিকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় খরচ খুবই কম হওয়ায় রোগীরা সহজেই তা নিতে পারছেন বলে জানান তিনি। বরিশাল সহ দেশের অনেক জেলার মানুষ আমার কাছ থেকে সেবা নিয়ে থাকেন।