শিক্ষাক্ষেত্রে খরচের পাশাপাশি সন্তান পালনের সামগ্রিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় গত এক দশকে জন্মহার কমছিলো চীনে। তবে এ হার আরও কমিয়ে দেয় করোনা সংক্রমণ। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, করোনার কারণে জন্মহার আরও কমেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্থিক এবং সামাজিক দুইদিক থেকেই দ্রুত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে চীন। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, অধিকাংশ নারীই বিয়ের পরিকল্পনা পিছিয়ে দিচ্ছেন। আগের তুলনায় মাতৃত্ব গ্রহণ করার পরিকল্পনাও পিছিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। তাছাড়া, কম বয়সিদের মধ্যে বড় শহরে গিয়ে থাকার প্রবণতা বাড়ছে। উচ্চশিক্ষা শেষ করতেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যাচ্ছে তাদের। তার ওপর কাজের চাপ তো রয়েছে। ফলে বিয়ে এবং সন্তান নেওয়ার মতো বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে ভেবে চিন্তে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চীনের কড়া জিরো-কোভিড নীতিও দম্পতিদের মধ্যে সন্তান জন্ম দেওয়ার ইচ্ছে কমিয়ে দিয়েছে। এমনকি বিয়ের আয়োজনের ক্ষেত্রেও এর বড় প্রভাব পড়েছে। চীনে কোনো দম্পতি একটির বেশি সন্তান নিতে পারবে না বলে যে নীতি ছিল-ইতিমধ্যে তার অবসান ঘটানো হয়েছে। ১৯৭৯ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে ওই নীতি নেওয়া হয়েছিল। এ নীতি লঙ্ঘন করলে জরিমানা, চাকরি হারানো এমনকি কিছু ক্ষেত্রে জোরপূর্বক গর্ভপাতও হতে পারতো।
You cannot copy content of this page