• বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের ষড়যন্ত্রে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ , মান্দায় বিএনপির নতুন কার্য‍্যালয় উদ্বোধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে আমাদের জন্য মাইলফলক: সিইসি,,,, রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য ‘কূটনৈতিক সৌজন্যের পরিপন্থী’: ঢাকা,,, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড, আহত অর্ধশতাধিক শিক্ষক,,,, মেহেরপুরে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে ৪ স্কুলশিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু,,,, বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান,, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম,,, সরকারের আহ্বানে সাড়া দেবে বিএনপি, কোনো দলের ডাকে নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ,,, পটুয়াখালীর মহিপুরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি আটক,,,

বাউফলে স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে, রাতের আধারে নববধূ আনতে গিয়ে আটক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।

রিপোর্টার: / ১৯৫ পঠিত
আপডেট: বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২

এম.জাফরান হারুন,  পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর বাউফলে প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের করার খবর পাওয়া গেছে স্বামী আব্দুর রহমান গাজীর বিরুদ্ধে। পরে রাতের আধারে নববধূকে আনতে গিয়ে প্রথম স্ত্রীর পরিবারের কাছে আটক হয়েছে আব্দুর রহমান গাজী সহ তার আত্মীয় স্বজন।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (২৯ আগষ্ট ) দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গোসিংগা গ্রামের মৃত নুর ইসলাম হাওলাদার ও সত্তার আমিন হাওলাদারের বাড়িতে। নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম মোসাঃ শারমিন আক্তার (১৭), মৃত নুর ইসলাম হাওলাদারের মেয়ে। রাতের গভীরে দ্বিতীয় বিয়ে করতে গিয়ে আটক আব্দুর রহমান গাজী (২৫), উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মদনপুরা গ্রামের দরগাবাড়ি স্থানের বাসিন্দা মোঃ মোতাহার গাজীর ছেলে। সে বিলবিলাস বাজারে কম্পিউটার ও ফটোস্টাট বসিয়ে ব্যবসা করছেন। প্রথম স্ত্রীর নাম আসমা বেগম (১৯), মদনপুরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মদনপুরা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সেলিম ডাক্তারের মেয়ে।

প্রথম স্ত্রী আসমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আজ থেকে ৩/৪ বছর আগে ছেলের ইচ্ছায় আনুষ্ঠানিক ভাবে আমাদের বিবাহ হয়। তার কিছুদিন পরেই আমাকে যৌতুকের টাকার জন্য বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। তাই মারধর নির্যাতন সৈর্য্য করতে না পেরে আমার পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করে ও আমার সোনা গয়না বিক্রি করে এবং ব্যাংক থেকে লোন ছাড়িয়ে বিলবিলাস বাজারে একটি দোকান ভাড়া করে তাতে কম্পিউটার ও ফটোস্টাট মেশিন বসিয়ে ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেই। তাতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু এদিকে হঠাৎ আমি আমার বাপের বাড়ি কিছুদিন ধরে থাকায় গোপন সূত্রে শুনতে পাই রহমান নাকি গোপনে আরও একটি বিবাহ করেছে। বিষয়টি তার সাথে আলাপ করলে সে সবসময় না স্বীকার যায়। রহমান আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি বিচার দাবি করছি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি।

এদিকে আসমা বেগমের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে মনির ডাক্তার ও দুলাল ডাক্তার জানান, আমাদের মেয়ের ঠিকমতো কোনও খোঁজখবর নিতোনা রহমান। সবসময় শারীরিক মানসিক নির্যাতন করতো মেয়েকে। আমরা দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনা শুনে জেনে ওত পেতে থাকি এবং ঘটনার রাতে রহমান তার দুলাভাইদের নিয়ে দ্বিতীয় বউ আনতে পয়নামা নিয়ে গেলে তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে ওই রাতেই দ্বিতীয় বিয়ের বউকে কাগজে তালাকনামা রেখে কাবিনে লেখা আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবার বিষয়টি নিশ্চিত রেখে ছেড়ে দেয়া হয়। এবং আমাদের মেয়ের বিষয়টি চেয়ারম্যান ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাদের পাঠিয়ে দেন। আমরা সেই অপেক্ষা সহ এই প্রতারণার বিচার দাবি করছি।

সরেজমিনে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে ঘটনার বিষয়টি জানার জন্য প্রতিবেদক গেলে পরিবারের কেউ কথা বলেননি। কিন্তু ঘটনায় উপস্থিত ও সংশ্লিষ্ট আত্মীয়দের মধ্যে নাম না বলা কয়েকজন জানান, শারমিন আক্তারের বাবা বেচে নেই। তাই তার চার ভাই মিলে ওই ছেলে রহমানের কাছে গত শুক্রবার (২৫ আগষ্ট ) বাউফল শাহী মসজিদে বসে রহমান ও শারমিনের ৩ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে কলমা কাবিন হয় এবং সোমবার দিন রাতে মোটামুটি আনুষ্ঠানিক ভাবে শারমিনকে তার স্বামীর বাড়িতে উঠিয়ে দেওয়া জন্য আয়োজন করা হয়। তখন ছেলের দুই দুলাভাই পয়নামা নিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পরেই কয়েকজন লোক এসে তাদের আটক করে। পরে জানতে পারি ছেলের প্রথম স্ত্রীর আত্মীয় স্বজন তারা। পরে চেয়ারম্যান এসে বিষয়টি জেনে শুনে তালাকনামা রেখে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে কাবিনের টাকা দিবে মেনে সহিস্বাক্ষর সহ সাক্ষ্য প্রমাণাদি রেখে পাঠিয়ে দেন।

এপ্রসঙ্গে জানতে প্রতিবেদক প্রতারক আব্দুর রহমান গাজীর খোঁজ নিতে গেলে কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। এবং স্থানীয়রা জানান ঘটনার পর থেকেই সে লাপাত্তা হয়ে আছে।

এব্যাপারে ঘটনার স্বত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেদককে চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জানান, যাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর কোনও রুপ ক্ষতি না হয় সেইদিকে নজর রেখে তালাকনামা রেখে কাবিনের টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিবে মর্মে সাক্ষ্য প্রমাণ সহ সহিসাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়া হয় এবং প্রথম স্ত্রীর পরিবারের লোকজনকে বলেছি আপনাদের বিষয়টি নিয়ে বসব এবং সমাধান করব।

এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি আল-মামন বলেন, এখনো এব্যাপারে কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ