এম জাফরান হারুন,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পৌরশহরে আপন ভাই মোসলেম উদ্দিন আকন, ছেলে মোঃ রিয়াজ হোসেন, মোঃ নাজমুল হোসেন সহ পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আপন বড় ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ বাসেদ আকন, মেয়ে মোসাঃ বদরুননাহার সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ শে সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে পৌরশহরের ৯নং ওয়ার্ড উপজেলা পরিষদ গেট সংলগ্ন নিজ বাসভবনে বসে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বাপ-মেয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করে বলেন, ভোগদখলে রাখা আমরা আমাদের অংশের সম্পত্তিতে দুইতলা বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করে তাহার নিচতলা ও দোতলা একটি ক্লিনিকের জন্য ভাড়া দেই। ক্লিনিক মালিক ডেকারেশন শুরু করে এবং আমরা ৩য় তলার কলামের কাজ শুরু করি। এমতাবস্থায় মোসলেম আকন সহ ছেলেরা মিলে আমাদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমাদের মারপিট সহ খুনজখমের হুমকি দেয়। এবং আমাদের বিল্ডিং ঘরের পূর্ব পাশে ওয়ালের সাথে থাকা পানি নিস্কাশনের পাইপ লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলে। এব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে জানিয়ে পৌর মেয়র কে জানালে আপোষ মিমাংসা করে দেয় এবং ঘর করার জন্য বলে।
সেই অনুযায়ী গত ০৮/০৯/২০২৩ ইং তারিখ বিকেল ৪টার দিকে ওই বাপ-ছেলে সহ তাদের পরিবার মিলে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে কাজ করতে থাকা মিস্তিরিদের হুমকি ধামকি দিয়ে তারিয়ে দেয় এবং পুনরায় চাঁদা দাবি করে। পরে উপায়ান্ত না পেয়ে বাউফল থানায় গিয়ে অভিযোগ দেই। কিন্তু তারা স্থানীয় শালিস মীমাংসা না মেনে এখন আইনকে তোয়াক্কা না করে আমাদের বিরুদ্ধে সহ ওসির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন সহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট তাই আমরা এখন আমাদের বিল্ডিংয়ের কাজ সহ পানি নিষ্কাশন ও তাদের বিচার দাবি করছি।
এব্যাপারে জানতে মোসলেম উদ্দিন আকনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করে কথা না বলায় কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে নাজমুল আকন বলেন, ওসি স্যার আমাদের ডাকলে আমরা থানায় গিয়েছি এবং যে সিদ্ধান্ত হয় সেই সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না হয় সেজন্য উভয় পক্ষকে ডেকে বলেছি আপনারা স্থানীয় ভাবে শালিস মীমাংসা হয়ে যান।