• বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নেপালের কাঠমান্ডুতে আন্তর্জাতিক কারাত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দলের রানার্স আপ ট্রফি অর্জন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা। নওগাঁর মান্দার ফেরিঘাটে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতির বিরুদ্ধে মাঠে ডা. ইকরামুল বারী টিপু/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ছয় দিন পর মারা গেলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি,,, জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস মান্দায় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও দেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নওগাঁর মান্দায় খলিশা কুড়ি বাজারে ধানের শীষের পক্ষে সমবায় দলের গণসংযোগ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর কাজ শুরু করলেও জানেনা অফিস কর্তৃপক্ষ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বিজয় দিবসে মান্দায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। হাদির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন, কিডনি কার্যক্রমে উন্নতি হলেও ঝুঁকি রয়ে গেছে

পাওনা মা-বাবার কাছে সন্তানেরা।

রিপোর্টার: / ৬৫০ পঠিত
আপডেট: সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০

দৈনিক ক্রাইম বাংলা ডেস্ক মহানবী (সা.) বলেন, পিতা সন্তানকে শিষ্টাচারের চেয়ে উত্তম কিছু শিক্ষা দিতে পারে না। (তিরমিজি, মিশকাত পৃষ্ঠা ৪২৩)সন্তানের জন্য সবচেয়ে আপন হলো মাতা-পিতা। তদ্রুপ মা-বাবার জন্য সবচেয়ে আপন হলো সন্তান। সুসন্তান পার্থিব জীবনে সুখ-শান্তির এবং পরকালে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম। ধন-সম্পদ প্রাণ রক্ষার মাধ্যম, আর সন্তান বংশ রক্ষার মাধ্যম। সন্তানের প্রতি মা-বাবার রয়েছে অসংখ্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। সেগুলো হলোএকত্ববাদের বাণী শোনানো: সন্তান জন্মের পর প্রথম সুন্নত কাজ হলো ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া। এর ফলে সন্তানের কানে সর্বপ্রথম একত্ববাদের বাণী পৌঁছে। আবু রাফে (রা.) বলেন, আমি মহানবী (সা.)-কে দেখেছি, ফাতিমা (রা.)-এর গর্ভে হাসান (রা.) জন্মগ্রহণ করলে তিনি তাঁর কানে নামাজের আজানের মতো আজান দিয়েছেন (তিরমিজি, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৩)

মহানবী (সা.) বলেন, যখন তোমাদের সন্তান কথা বলতে শিখে তখন তাদের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ শিক্ষা দাও। (বায়হাকি)

অর্থবহ নাম রাখা: মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে নামের মাধ্যমে। দুনিয়ার এ নামেই পরকালে তাকে ডাকা হবে। এ নামের প্রভাব পড়ে বংশের মধ্যে। ফলে মা-বাবার কর্তব্য হলো তার সন্তানের একটি অর্থবহ নাম রাখা। মহানবী (সা.) অর্থবহ নয় এমন অনেক নাম পরিবর্তন করেছেন। যেমন—আব্দুল ওজ্জা নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন আবদুল্লাহ, আসিয়া নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন জামিলা। বুররা নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন জয়নব।

আকিকা করা: শিশুর জন্মের সপ্তম দিন আকিকা করা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, প্রতিটি শিশু তার আকিকার সঙ্গে বন্ধক থাকে। সুতরাং তার জন্মের সপ্তম দিন তার পক্ষ থেকে পশু জবেহ করবে, মাথার চুল মুণ্ডন করবে ও নাম রাখবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ছেলের জন্য দু’টি ছাগল এবং মেয়ের জন্য একটি ছাগল আকিকা করবে (বায়হাকি)।

খতনা করানো: মা-বাবার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হক হলো পুত্রসন্তানের খতনার ব্যবস্থা করা। এটি সুন্নতে ইবরাহিমি। ইবরাহিম (আ.) বৃদ্ধ বয়সে নিজের খতনা নিজে করেছেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, মানবীয় স্বভাবসম্মত কাজ পাঁচটি। তন্মধ্যে একটি হলো খতনা।

যথাযথ প্রতিপালন: সন্তানকে যথাযথ প্রতিপালন করা মা-বাবার অপরিহার্য কর্তব্য। সন্তানের জীবনের নিরাপত্তা, শিক্ষা, চিকিৎসা, রোগমুক্ত রাখা, স্বাস্থ্যবান হিসেবে গড়ে তোলা এবং জীবনের উন্নতি ও বিকাশকল্পে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালানো মা-বাবার কর্তব্য। তার পুষ্টিকর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করা আবশ্যক। মহানবী (সা.) হাসান-হোসাইনকে (রা.) চুমু দিতেন। এক গ্রাম্য ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলেন, আপনারা কি শিশুদের চুমু দেন, আমরা তো চুমু দিই না বলে জানালেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ