• বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বোরহানউদ্দিন পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাদাপাথর লুটপাটে দুদকের প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ভোটারপিছু ১০ টাকা খরচ করতে পারবেন প্রার্থী, ইসির প্রস্তাব,,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন–আসিয়ানকে নিয়ে সম্মেলনের প্রস্তাব,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা একীভূত হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জননিরাপত্তা বিভাগ’ ও ‘সুরক্ষা সেবা বিভাগ’,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা অর্থ পাচার ঠেকাতে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বাউফলে পৃথকভাবে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দশমিনায় বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলা, তিনজন আহত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে পান-সুপারির দোকানদার মুছা যখন ইয়াবা কারবারি/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। পটুয়াখালীতে লোহালিয়া নদী থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

বাউফলে এসএসসি পরিক্ষায় পাশ করা শিক্ষার্থীদের মার্কশিটসহ প্রশংসাপত্র আটকিয়ে টাকা আদায়/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

এম জাফরান হারুন।। / ১৪৪ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩

এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।। 

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করা শিক্ষার্থীদের মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র আটকিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে চারশ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মার্কশিট ও প্রশংসাপত্রের জন্য টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী শিরিন বলেন, শিক্ষক সমিতি থেকে মার্কশিটের জন্য ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কালাইয়া হায়াতুন্নেসা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও অন্যান্য বিদ্যালয় ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে। আমার প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের বিষয় বিবেচনা করে ৪০০ টাকা করে নিচ্ছি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১২০ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে আদায় করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির জন্য বাধ্য হয়ে ধার্যকৃত টাকা দিয়ে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র নিচ্ছে। বিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পুরোনো হলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করা একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ‘তাদের কাছ থেকে চারশ টাকা নেওয়া হয়েছে।

তাদের বলা হচ্ছে এটা সংরক্ষণ ফি বাবদ লাগবে। তবে টাকা নেওয়ার কোনো রিসিভ চাইলে দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। টাকা ছাড়া কাউকে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র দেওয়া হয় না।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুনতাসির তাসরিপ বলেন, আমাদের সময়ও মার্কশিট ও প্রশংসা পত্রের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা ভয়ের কারণে প্রতিবাদ করতে পারিনি। জুনিয়রদের কাছে জেনেছি এ বছরও ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক অভিভাবক বলেন, এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমরা এই অবস্থা থেকে রেহাই পেতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক বলেন, মার্কশিটের জন্য কোনো টাকা নেওয়ার বিধান নেই। কোনো শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ