• বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বোরহানউদ্দিন পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সাদাপাথর লুটপাটে দুদকের প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ভোটারপিছু ১০ টাকা খরচ করতে পারবেন প্রার্থী, ইসির প্রস্তাব,,,, দৈনিক ক্রাইম বাংলা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন–আসিয়ানকে নিয়ে সম্মেলনের প্রস্তাব,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা একীভূত হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জননিরাপত্তা বিভাগ’ ও ‘সুরক্ষা সেবা বিভাগ’,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা অর্থ পাচার ঠেকাতে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বাউফলে পৃথকভাবে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দশমিনায় বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলা, তিনজন আহত/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে পান-সুপারির দোকানদার মুছা যখন ইয়াবা কারবারি/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। পটুয়াখালীতে লোহালিয়া নদী থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।।

তাহলে কি বাউফল উপজেলা শিক্ষক সমিতি চাঁদাবাজ?/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। 

এম জাফরান হারুন।। / ২২৬ পঠিত
আপডেট: বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩

এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।। 

তাহলে কি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি চাঁদাবাজ? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আর উত্তরও মিলছে না কারণ কি? তবে মনে হয় মানুষ গড়ার কারিগর এখন বিভিন্ন অপকর্ম করার জন্য বিভিন্ন সংগঠন করে চলছে। তাহলে এদের রুখবে কে?

অনুসন্ধান সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, যে ওই মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে যারা থাকেন তারা প্রতিষ্ঠান প্রধান কে তথা প্রধান শিক্ষককে চাপ সৃষ্টি করে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মার্কশীট ও প্রশংসাপত্র আটকিয়ে ৫০০ শত টাকা করে নেওয়ার তাগিদ দেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানও সেই ভাবে তার দায়িত্ব পালন করেন। পরে তা বিভিন্ন ভাবে নাকি আবার ভাগবাটোয়ারা হয়ে থাকে। যেন জিম্মির মুখে অভিভাবকগন তা মানতে বাধ্য হন এবং টাকা দিয়ে কাগজপত্র ছাড়িয়ে নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি করানোর চেষ্টা করেন।

নাম না বলা শর্তে একাধিক সাবেক প্রধান শিক্ষকরা জানান, আসলেই মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি হয়েছে মনে হয় চাঁদাবাজি করার জন্য। তারা সঠিক ভাবে শিক্ষকের উপকারে না এসে এখন শিক্ষকদের দিয়ে চাঁদাবাজি করছেন। আজকে অভিভাবক গন তাদের সন্তান কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিয়ে যেন সাগরে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। আর কি বলব আমাদের কিছু বলার নেই।

মাধ্যমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নির্দেশে প্রায় প্রতিটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির জন্য বাধ্য হয়ে ধার্যকৃত টাকা দিয়ে মার্কশীট ও প্রশংসাপত্র নিচ্ছে। বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পুরোনো হলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তার স্বত্যতাও স্বীকার করেন কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী শিরিন। তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতি থেকে মার্কশীটের জন্য ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কালাইয়া হায়াতুন্নেসা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও অন্যান্য বিদ্যালয় ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে। আমার প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের বিষয় বিবেচনা করে ৪০০ টাকা করে নিচ্ছি।

উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা জানান, ‘তাদের কাছ থেকে মার্কশীট ও প্রশংসাপত্র বাবদ ৪০০/৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।

তাদের বলা হচ্ছে এটা সংরক্ষণ ফি বাবদ লাগবে। তবে টাকা নেওয়ার কোনো রিসিভ চাইলে দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। টাকা ছাড়া কাউকে মার্কশীট ও প্রশংসাপত্র দেওয়া হয় না।

অনুসন্ধান সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক গন বলেন, আজকে সন্তান কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে যেন আমরা সাগরে ঝাপ দিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। এই ফি সেই ফি এখন আবার মার্কশীট ও প্রশংসাপত্র নিতে ফি যার শেষ নেই। আজ আমরা অতিষ্ট। আমরা কোনও কথাও বলতে পারিনা যেন তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছি। আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি যেন কোনও প্রকার ফি ছাড়া যেন আমাদের সন্তানদেরকে নির্বিঘ্নে পড়ালেখা করাতে পারি।

বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি মোঃ আবু জাফর, যিনি ইন্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। আর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ মন্জুর মোর্শেদ, যিনি ধানদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি মোঃ আবু জাফর বলেন, ৫০০ টাকা করে নিতে বলেছি এটা সত্য, তবে রিসিভ দেওয়ার জন্য বলেছি। এ টাকাটা কিসের জন্য দিতে হবে এবং কোনও বিধি বিধান আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে গোপন সূত্রে জানা যায়, এটা তাদের একটা চাল ধান্দাবাজি।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক বলেন, মার্কশীট বা প্রশংসাপত্রের জন্য কোনও টাকা নেওয়ার বিধি বিধান নেই এবং সরকারি কোনও রেটও নেই। এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ বশির গাজী বলেন, এব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে, অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ