মোঃ নাহিদুল হক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আবারো দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর প্রকপ।
সোমবার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে চলতি এ মৌসুমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যে এন,এস স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন
ওষুধের দোকান গুলোতে মিলছে না এ স্যালাইন।
স্থানীয়দের অনেকে অভিযোগে করে বলেন, অপরিচ্ছন্ন ড্রেনেজ ব্যবস্থা,বাসা-বাড়ীতে ফুলের টপ,ডাবের খোসা, গাড়ীর টায়ার থেকে এডিস এজিপ্টি মশার উৎপত্তিস্থল হলেও তা ধ্বংসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি নেই।
পৌরসভার একটি সতর্কতা মূলক মাইকিং হলেও বিভিন্ন বাসা-বাড়ী ,ব্যাংক-বীমা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছাদ পরিদর্শনে কারোর কোন ভূমিকা চোখে পড়েনি।
স্কুল,কলেজ মাদ্রাসা গুলোর অধিকাংশই এডিস এজিপ্টি মশা রোধে যথাযথ কোন ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
এদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে এন,এস স্যালাইন প্রয়োজন হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুযায়ী এন,এস স্যালাইন পাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, অনেক ওষুধের দোকানে এ স্যালাইন থাকা সত্বেও অনায়াসে তা বিক্রি না করায় এলাকায় অনেকটা কৃত্রিম সংকট চলছে।
এ ব্যাপারে সেন মেডিকেলের সত্বাধিকারী বিশ্বজিৎ সেন জানান, এন,এস স্যালাইন উৎপাদনকারী কোম্পানী গুলোর সাপ্লাই তুলণামূলক কম বলে এলাকার ওষুধের দোকান গুলোতে কিছুটা সংকট আছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত পৌরসভার ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের অধিবাসী গৌতম চন্দ্র হাওলাদার জানান, তিনি এক মাস আগে ডেঙ্গু রোগে আকান্ত হয়ে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের ডা. জুনায়েদ হোসেন লেলিনের চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন।
তবে ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধে তেমন কোন ভূমিকা কারোর নেই।
কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা.জুনায়েদ হোসেন লেনিন জানান, প্রতিদিনই ৭/৮ জন করে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে সোমবার অন্ততঃ ২০জন রোগী সনাক্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. হুমায়ুন কবির জানান, ডেঙ্গুর প্রকোপের প্রথম অবস্থায় এডিস মশা নিধনে ওষুধ স্প্রে করা হয়েছিল। তবে পুনরায় প্রকোপ দেখা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে
তিনি উল্লেখ করেন।