বিশেষ প্রতিনিধি মোঃসাইফুল ইসলাম পান্নাঃআলোচিত ঘটনা, টুঙ্গীবাড়িয়া ইউনিয়নের সোমরাজি মোল্লার হাওলা গ্রামের নবম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষন। বন্দর থানা মামলা নং ০৩/যার জি,আর ৮১/২০২০ ফারজানা আক্তার (রিমা) বাদী হয়ে মামলা করেন। ধর্ষনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সোমরাজি মোল্লার হাওলার এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ । মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সোমরাজি গ্রামের মেম্বর অমর নাথ মানববন্ধনে উপস্তিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ আলি আকবর, ওসমান শরীফ, ফারুক গাজি, কাঞ্চন প্যাদা, মকবুল ঢ়াড়ি, হানিফ ঢ়াড়ি, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা এম,এম, ইসলাম জাহিদ,ও সাহেবেরহাট আল্ আকশা জামে মসজিদের ইমাম মোঃ শাকিল হোসাইন, আল্ ইখলাছ ইসলামি কিন্টার গার্টেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক মোঃ ফেরদাউস আহম্মেদ, মোঃ রেদওয়ান শাওন প্রমুখ। এসময় ধর্ষক বাবুলের সর্বোচ্চ শাস্তি ক্রোস ফায়ার/মৃত্যুদন্ডের দাবি জানান তারা। জানাগেছে, বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গীবাড়িয়া ইউনিয়নের সোমরাজি গ্রামের শহিদুল হাওলাদারের কন্যা নবম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রী (ছদ্বনাম) ফারজানা লম্পট বাবুলের প্রলোভনে ৫ মাসের অন্তঃসত্বা। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদকদের কাছে ধর্ষক বাবুলের বিরুদ্বে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে জানাগেছে, বিগত ১ বছর ধরে ফারজানাকে (ছদ্বনাম) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করেছে বাবুল। যার ফলশ্রুতিতে ওই মেয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্বা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে সেই ধর্ষীতার পরিবারকে হত্যার হুমকি ও মামলা দিয়ে গ্রামছাড়া করারও হুমকি দেয় লম্পট বাবুল। এ বিষয়ে সিংহেরকাঠী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, নাদিরা রহমানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমি কিছুদিন আগে ঢাকায় এসেছি আমার হাজব্যান্ড অসুস্থ আমি মেডিকেলে এছাড়া এই বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানিনা তবে আমি একজন মা হিসেবে একজন বোন হিসেবে ওই ইউনিয়নের নাগরিক হিসেবে
এই জঘন্যতম ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই তার সাথে সাথে আমি ওই পরিবারের খোঁজখবর নেব আমার যা যা করনিও আমি তা করবো ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর নির্বাহী সভাপতি মোঃ মনির হোসেন বলেন বিষয়টি মানবাধিকার লংঘন তাই ধর্ষক যেই হোক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।এলাকা সুত্রে জানাগেছে, কয়েক বছর আগে ধর্ষক বাবুলের প্রতারনার ফাঁদে পা দিয়ে সর্ব শান্ত হয়েছে সোমরাজি গ্রামের ফোরকান মুন্সির স্ত্রী ,পারুল বেগম। বিষয়টি নিয়ে বড়ো আকার ধারন করলে কৌশলে পাড়ি জমায় বিদেশে। আবার বিদেশ থেকে ফিরে এসে ফের প্রতারনার ফাঁদ পাতলো স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ফারজানার দিকে। ধর্ষনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারজানার মা জানান, আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে আমার বাড়িতে আসতো বাবুল। বাড়িতে আসা যাওয়ার ফাঁকে আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করেছে। যার ফলশ্রুতিতে আমার মেয়ে আজ ৫ মাসের অন্তঃসত্বার স্বীকার। আমি ধর্ষক বাবুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। এলাকার সুশিল সমাজ বলেন, ধর্ষনের প্রতিবাদে জখন বাংলাদেশ উত্তাল সেই অবস্হায় বাবুল কৌশলে তার ধর্ষনের প্রচেষ্টা চালিয়ে সফল হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বিধান রেখে সই করার পরেও এই বাবুল ধর্ষণ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ধর্ষক বাবুলের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, ওই ওয়ার্ডের মুরুব্বী রুস্তম প্যাদা বলেন এই বাবুল অত্যন্ত খারাপ লোক ওর প্রতারণার ফাঁদে সর্বস্বান্ত হয়েছে পারুল বেগম নামের এক মহিলা। সেই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বড় আকার ধারণ করলে কৌশলে পাড়ি জমান বিদেশে। এখন বিদেশ থেকে ফিরে এসে উঠতি বয়সী একটা মেয়েকে বিবাহ করে দিনের পর দিন অত্যাচার করে চলছে, এবং তার এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছে উঠতি বয়সী শহিদের মেয়ে ফারজানা। শহিদের মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার কথা আমরা শুনেছি এবং ওই মেয়ে নাকি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আমরা প্রশাসনের কাছে বাবুলের বিচার দাবি করে মানববন্ধন করছি। যাতে ওই লম্পটকে জনসম্মুখে ফাঁসি দেওয়া হয়। মানববন্ধনের সভাপতি ইউপি সদস্য অমর দেবনাথ বলেন আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলাম এবং থাকবো এই ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কামনা করছি তার সাথে সাথে বাবুলকে যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিবেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি এছাড়া বাবুলের বিরুদ্ধে ওই অঞ্চলে অনেক অভিযোগ আছে টাকা-পয়সার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না তাই আমি এলাকাবাসিদের নিয়ে মানববন্ধন করেছি। অমর নাথ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রশাসনকে আইনগত ব্যাবস্হা ও সর্বোচ্চ শাস্তি নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে সাব- ইন্সপেক্টর মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন ভিকটিম শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল ওসিসিতে ভর্তি আছেন আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা মূলক কাজ চলছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন আমরা আসামি কে ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি অতি দ্রুত আমরা সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।