• শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার পুজা মন্ডপ পরিদর্শন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সৌদি আরবের বিখ্যাত ‘খেপসা’ খাওয়ালেন বিএনপির নেতা ইন্জিনিয়ার ফারুক/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে সেই আলোচিত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গোবিন্দ ঘরামি গ্রেফতার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল নোট চক্রের সদস্যরা, মিলছে না প্রতিকার/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বোরহান উদ্দিন পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিমের নির্দেশে উপহার বিতরণ/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া রাষ্ট্র কখনোই এগুতে পারবেনা …. তানিয়া রব/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। দাউদকান্দিতে কাইয়ুম মেম্বারের বিরুদ্ধে ভাতা বাণিজ্যের অভিযোগ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা জয় দিয়ে আফগানিস্তান সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগাররা,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা নতুন সিরিজে নিয়ে আসছেন টিম রবিনসন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় শতাধিক প্রকল্পে নতুন করে দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ২৫ পঠিত
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫

 

ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় শতাধিক প্রকল্পে নতুন করে দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রায় শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারই কাজ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তার মধ্যে অনেক ঠিকাদার তুলে নিয়ে গেছে টাকাও। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকার যেসব প্রকল্পে ঠিকাদাররা পালিয়েছে সেসব প্রকল্পে নতুন করে দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমপ্রতি ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। তাছাড়া অনেক কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালক বা পিডি হতে চাচ্ছে না। সেজন্য প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ ও বদলিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এডিপি বাস্তবায়নে গতি নেই। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে মাত্র ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকেও কম। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তবে চলতি অর্থবছরে কোনো ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকা সত্ত্বেও এডিপি বাস্তবায়নে গতি আসেনি। মূলত যেসব প্রকল্পের ঠিকাদার পালিয়ে গেছে সেগুলোর কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। পাশাপাশি অনেক প্রকল্পে পিডি নেই। যেজন্য ফলে উন্নয়ন ব্যয়ে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। তাতে বোঝা যায় প্রকল্প বাস্তবায়নে কাঠামোগত সমস্যাগুলো রয়ে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যবস্থাপনায় সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়। পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন প্রস্তাবও পেশ করা হয়। তার মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (ডিপিপি) বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। সেজন্য জনবলের দক্ষতা বাড়ানো, ডিপিপি প্রণয়নে সংস্থা পর্যায়ে বাজেট বরাদ্দ, ডিপিপি প্রণয়নের শুরু থেকেই ফোকাল পার্সন নিয়োগ এবং পরে তাকেই প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়।

সূত্র জানায়, প্রকল্প পরিচালক হতে আগে বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের আগ্রহ থাকলেও এখন তা দেখা যাচ্ছে না। বরং প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েও অনেকে কাজে যোগ দেয়নি। মূলত বর্তমানে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের ফলে প্রকল্প পরিচালক হতে কর্মকর্তারা কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাছাড়া অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা দূর করতে সব প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হচ্ছে। তাতে করে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য বন্ধ হয়ে গেছে। আর ক্রয় আইন পরিবর্তন হলে নতুন ঠিকাদারেরা কাজ করার সুযোগ পাবে। দরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সরকারের মন্ত্রণালয়গুলো নতুন ক্রয়বিধিমালার অপেক্ষায় রয়েছে। বিশেষ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ওই সংস্থাটি দরপত্র দিচ্ছে না। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, যেসব ঠিকাদার পালিয়েছে, নতুন দরপত্র দিলে তারা বেনামে দরপত্র বাগিয়ে নিতে পারে। কিন্তু নতুন ক্রয়নীতির গেজেট হলে পালিয়ে যাওয়া ঠিকাদারদের এ সুযোগ থাকবে না।

সূত্র আরো জানায়, প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) জন্য পরিকল্পনা প্রক্রিয়া, সরকারি অর্থব্যবস্থাপনা এবং সরকারি ক্রয়বিধি-২০০৮ বিষয়ে সার্টিফিকেশন কোর্স চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে পিডিদের পুরস্কৃত করার এবং নিয়োগ ও বদলিতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নেরও প্রস্তাবও করা হয়েছে। আর প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়নের জন্য সংস্থা পর্যায়ে জনবলের দক্ষতার বৃদ্ধির প্রস্তাবও আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসেছে। তাছাড়া ডিপিপি প্রণয়ন বাবদ সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়ার সুপারিশ এসেছে। প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন কার্যক্রম শুরুর সময় থেকেই প্রকল্পে ফোকাল পার্সন নিয়োগ এবং তাকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া মানসম্মত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রণয়নের জন্য পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল/প্রতিষ্ঠান নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অনুমোদনের আগে স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দ্বারা মূল্যায়ন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবও এসেছে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনে বাজার জরিপ, চাহিদা পূর্বাভাস, ঝুঁকি বিশ্লেষণ, পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন পৃথক অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, উন্নয়ন প্রকল্প তদারকি ওপর বিশেষ জোর দেয়ার প্রস্তাব এসেছে। ওই লক্ষ্যে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কার্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া খাত-ভিত্তিক অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনের বিষয়েও সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ