• শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপে এআই ছবি বানানোর নিয়ম,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এক নজরে দেখে নিন কে কার মুখোমুখি হচ্ছে শেষ ষোলোয়,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ডুন’ পরিচালকের হাত ধরে ফিরছেন জেমস বন্ড,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ইন্দুরকানীতে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে শহীদ হন মনির হোসেন,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বিতর্কিত তিন নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আইন মন্ত্রণালয় আগামী ৬ মাসে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আগে স্থানীয় নির্বাচন দরকার, বললেন নুর,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা বহুতল ভবন নয়, দীর্ঘশ্বাসের স্তূপ,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা এবার দক্ষিণ লেবানলে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


ধর্ষণ ও স্ত্রী সন্তান হত্যা আর কত কাল হবে। দৈনিক ক্রাইম বাংলা

রিপোর্টার: / ৪০৮ পঠিত
আপডেট: শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১


দুনিয়ার সভ্য সমাজ, রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক দেশে নারীদের সম্মান, ইজ্জত ও সম্ভ্রম রক্ষা সরকারের দায়িত্ব। সেই রাষ্ট্র মুসলীম হোক বা অমুসলীম হোক। তাই নিবন্ধনটির শুরুতেই নারী জাতির সম্মান সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কিছু উদাহরণ উপস্থাপন করা হল। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আল জান্নাতু তাহতা আকদামেল উম্মেহাত। অর্থাৎ মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত। আরও বলা হয়েছে জননী ও জন্মভূমি স্বর্গ হতে গরিয়সি। অন্য ধর্মে সংস্কৃতিতে বলা হয়েছে, মাতা ধর্ম, মাতা স্বর্গ, মাতৃ প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতা।
মাতৃভক্তির ছোট দুটি উপমা- একবার পরাক্রমশালী ব্রিটিশ রাজ তাদের অধীনস্থ এক পরগনার জমিদারকে দেখা করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে থাকে। কিন্তু সেই সময় জমিদার তার মায়ের আবদার রক্ষা করতে গিয়ে যথাসময়ে ব্রিটিশ রাজের সাথে দেখা করতে পারেনি। যে কারণে তার জমিদারি চলে যায় এবং নির্দেশ অমান্য করার কারণে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানে লক্ষ্যণীয় জমিদার তার পরগনার জমিদারি হারিয়েও ব্রিটিশ রাজের কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হলেও মায়ের আদেশ অমান্য করেনি।
মাতৃভক্তির আরেকটি উদাহরণ- একবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পড়ালেখার কারণে বাড়ী থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছিলেন। এমন সময় টেলিগ্রামের (ম্যাসেজ) মাধ্যমে জানতে পারলেন, তার মা অসুস্থ। ইহা জেনে তিনি মাকে দেখার জন্য রওয়ানা হয়ে যান। এমনিভাবে গভীর রাতে বাড়ীর কাছে চলে এসে দেখেন, নদী পার হওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু মায়ের দুঃখে তিনি আপ্লুত হয়ে তৎপরবর্তী সময় সাঁতরিয়ে নদী পার হয়ে মায়ের কাছে চলে আসেন। মাতৃভক্তির এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। যদিও এত কিছুর পরও নারীদেরকে (মহিলা) পাষন্ড স্বামীরা যে নির্মমভাবে হত্যা করছে এবং তেমনিভাবে পাষন্ডরা মহিলা ও শিশুদেরকে ধর্ষণ ও হত্যা করতে কুন্ঠা ও দ্বিধা সংকোচবোধ করছে না। বিষাদ সিন্ধুতে মীর মোশাররফ হোসেনের কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনার বর্ণনায় যেমনিভাবে রাসুল (সাঃ) এর দৌহিত্র হাসান ও হোসাইন (রাঃ) কে সীমার যে নির্মম নিষ্ঠুরভাবে খঞ্জর চালিয়ে হত্যা করেছিল তা হৃদয় বিদারক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। যা নিয়ে প্রতি বছর মহররম মাসে বিশ্বের শিয়া মুসলমানরা যেমন শোক পালন করে থাকে এবং মুসলীম দেশ সমূহে শোকের মাতম পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। তেমনিভাবে নারী ও শিশুদের ওপর এমন বর্বরতার যেন শেষ নেই।
যাক, নিবন্ধের শিরোনামের দিকে ফিরে যাচ্ছি। নিবন্ধের শুরুতেই নারীদের ব্যাপারে রাষ্ট্রের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে। এ প্রবিধান থেকে কোনো অবস্থাতেই রাষ্ট্র ও সরকারের সরে আসা, অবহেলা ও গাফিলতির আদৌ কোনো সুযোগ নেই।
আর যদি কোনো রাষ্ট্রে অহরহ নারী ধর্ষণ, স্ত্রী, সন্তান ও পিতামাতাকে হত্যা করা হয়ে থাকে তবে সেই রাষ্ট্রকে সভ্যদেশ ও আইন দ্বারা পরিচালিত বা নিয়ন্ত্রিত না বলে অসভ্য, অরাজক ও বর্বর রাষ্ট্র হিসেবে গণ্যেরই সামীল। যাকে আইয়্যামে জাহেলিয়া (অমব ড়ভ রমহড়ৎধহপব) বা বর্বর যুগের সাথে তুলনা করা চলে। সেই সময় কন্যা সন্তান জন্ম নিলে জীবন্ত কবর দেয়া হত। অহরহ ধর্ষণ থেকে শুরু করে ব্যভিচারের কোনো সীমা পরিসীমা না থাকলেও জবাবদিহীতার যেমন প্রয়োজন হত না তেমনি আইন ও বিচারের কাঠগড়ায় জবাবদিহি করতে হত না।
এছাড়া বর্তমান সমাজে অহরহ স্ত্রী ও সন্তানকে স্বামী বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে নির্মম ও পাশবিকভাবে হত্যা করতে দ্বিধা সংকোচবোধ করছে না। এমনকি জ্বলন্ত আগুনে স্ত্রী ও সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যা করতেও বিব্রতবোধ করছে না। যে উদাহরণের চিত্র শরীরে শিহরন সৃষ্টি হয়। যে ফিরিস্থি, অসংখ্য ঘটনা ও উদাহরণের শেষ নেই। গণমাধ্যম, মিডিয়া, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজ এসব কিছু নিত্যদিনের ঘটনা। ১৪/৬/২১ ইং গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন একটি হৃদয় বিদারক ঘটনার উল্লেখ করা হল। যা পড়ে সুস্থ মানুষের ঠিক থাকার কথা নয়। সৌমেন কুমার নামে পুলিশের এক এ.এস.আই দ্বিতীয় স্ত্রী, সৎ ছেলেসহ প্রকাশ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে। ১৩/৬/২১ ইং রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা শহরের রহিম সড়কের একটি মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। সৌমেন কুমার নামের ওই ঘাতককে জনগণের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে গণমাধ্যম জানায় বেলা ১১টার দিকে আসমা তার শিশুপুত্র এবং শাকিল কাস্টম মোড়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতেছিল। এ সময় সেখানে অস্ত্রসহ ঘাতক এ.এস.আই সৌমেন আসে। এক পর্যায়ে তার সাথে থাকা অস্ত্র বের করে স্ত্রী আসমা ও শাকিলের মাথায় কয়েক রাউন্ড গুলি করে। আরও আশ্চর্য্য হচ্ছে শিশু রবিন যখন দৌঁড়িয়ে প্রাণ বাঁচাতে ছিল তখন শিশু রবিনকেও সৌমেন পেছন থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এই ঘাতকের বুলেটে তিনজনের রক্তে লালে লাল হয়ে যায়। যা কারবালা ট্রেজেডির সাথে তুলনা করা চলে। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে ১৪/৬/২১ ইং জানা যায় ১৩/৬/২১ ইং রোববার কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে স্কুল ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। শেরপুরে ভাইকে গাছে বেধে এক নারীকে, টাঙ্গাইলের সখিপুরে গৃহবধু ও গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া পাবনার সুজানগর ও অভয় নগরের দুই শিশু, রূপগঞ্জে গৃহবধু ও চরফ্যাশনে কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
গণমাধ্যম সূত্রে ২০/৬/২১ ইং জানা যায়, রাজধানীর কদমতলীর একটি বাসা থেকে একই পরিবারের তিনজনের হাত পা বাধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে আরও দুইজনকে। ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়ে মা, বাবা ও বোনকে হত্যার পর স্বামী ও কন্যাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে অপরাধী মেহজাবিন নামের পাষন্ড মহিলা। অতঃপর নারী শিশুর ধর্ষণ ও লোমহর্ষক ঘটনার যে বিচার একেবারে হচ্ছে না তাও বলা যাবে না। তবে দৃশ্যমান এসব জঘন্য বিচারের রায় খুবই কমই পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। এ ধরণের লোমহর্ষক ঘটনার দ্রুত রায় কার্যকরী না হওয়াতে ও দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে সায় সাক্ষীর অভাবে এবং বিলম্বের কারণে মামলার সুষ্ঠু রায় পরিলক্ষিত হয় না। বিশেষ করে সময় কালক্ষেপনের কারণে বাদী সঠিক বিচার পায় না। যার ফলশ্রুতিতে সমাজে এ ধরণের হিং¯্র ও নির্মম ঘটনা অহরহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রাইম কন্ট্রোল বিশেষজ্ঞদের মতে যদি দ্রুত সময়ে এ সমস্ত হেনিয়াস ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার কার্য সমাপ্ত হত এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচারের রায় হত তবে এ সমস্ত ঘটনা আসলেই কমে যেত।
মামলার দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে এবং সায় সাক্ষীর অভাবে এ সমস্ত মামলার ফলাফল অনেক সময় আলোর মুখ দেখেনি। যার উদাহরণের শেষ নেই। কয়েক বছর আগে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলাধীন নারান্দী ইউনিয়নস্থ আগরপাট্টা গ্রামের জনৈকা গার্মেন্টস কর্মি বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়াতে উক্ত এলাকার এক বখাটে নির্মম, নিষ্ঠুর ও নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করে। পরবর্তী সময় নিহতের গরীব, অসহায়, দিন মজুর ও অসহায় ভাই মামলা পরিচালনা করতে না পারায় এবং তাদের ভয়ভীতিতে পিছু হটে। অবশেষে আদালত হত্যাকারী অপরাধীকে বেকসুর খালাস দিয়ে থাকে। এমন অসংখ্য হৃদয় বিদারক ঘটনার উদাহরণ ও দৃষ্টান্তের যেন কমতি নেই। প্রায় সময় মিডিয়ার ক্রাইম প্রতিবেদনে ও গণমাধ্যমে এমন ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার দৃশ্যপট বর্ণনা ও সচিত্র প্রতিবেদন দেখে অশ্রু সংবরণ করা যায় না। এ সমস্ত স্পর্শকাতর মামলার রায় বছরের পর বছর পেন্ডিং থাকলে নানা মনে নানা প্রশ্নের উদ্ভব হয়ে থাকে। এছাড়া তা কারও কাম্য নহে। যে কারণে অনেকেই বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে বলে থাকে হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ।
আরেকটি লোমহর্ষক ঘটনার উল্লেখ করা হল। সায় সাক্ষীর অভাবে ভিকটিম বিচার পায়নি। প্রায় ৬/৭ বছর আগের ঘটনা। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবিবাহিত শিক্ষিকা পিটিআই যাওয়ার পথে জনৈক বখাটে যুবকের বারবার প্রেম প্রত্যাখ্যান
করায় তাহাকে দিনের ১০টার সময় প্রকাশ্যে কিশোরগঞ্জ শহরের উপকন্ঠে শ্রীনগর কলাপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাতে মানুষের সামনে রিকশা থেকে নামিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। উপস্থিত জনতা তাকে তৎক্ষণাৎ রক্তমাখা ছুরিসহ ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এবং সে হত্যার কথা স্বীকার করে। কিন্তু পরবর্তী সময় মামলার দীর্ঘ সূতিত্রার কারণে এবং উপযুক্ত সায় সাক্ষীর অভাবে আত্মস্বীকৃত খুনির উপযুক্ত শাস্তি হয় না বলে সূত্রে জানা যায়। এমন স্পর্শকাতর নৃশংস ঘটনা ও অপরাধীর সুষ্ঠু বিচার না হওয়ার উদাহরণ ও দৃষ্টান্তের শেষ নেই। প্রেক্ষাপট মনে করে যুগ যুগ ধরে ধর্ষণ ও স্ত্রী সন্তান হত্যাসহ এমন বর্বর ঘটনা ঘটলেও অসহায় ও দুঃখীদের পাশে যেন কাহাকেও দাঁড়াতে দেখা যায় না। যদিও রয়েছে মানবাধিকার কমিশন, মানবাধিকার সংস্থাসহ অসহায়দের আইনী সুবিধা দেয়ার প্রতিষ্ঠান। খাতায় কলমে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠান থাকলেও তাদেরকে তেলা মাথায় তেল দিতে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় বলে অনেকেই মনে করে থাকে। তা না হলে নৃশংসভাবে হত্যা অসহায় গার্মেন্টস মহিলা ও শিক্ষিকার বিচারের রায় এমন হওয়ার কথা নয়। এ প্রসঙ্গে নিবন্ধে বিস্তারিত বলা না হলেও সংক্ষিপ্তভাবে বলা হয়েছে। যা হৃদয় বিদারক নৃশংস ও মর্মান্তিক।
বিতর্কিত নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে মামলা হয় এবং ১৫/৬/২১ সংসদে আলোচনা হয়ে থাকে। কিন্তু এমনিভাবে অসহায় জমিলা, জরিনা ও সখিনাদের ধর্ষণ, নির্যাতন, শ্লীলতাহানি এবং হত্যা করা হলেও এই অসহায়দের খবর রাখেই বা কজনা। পরীমনি সম্পর্কে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যা প্রকাশিত হচ্ছে অনেকের মতো আরও দেখা জানার প্রতীক্ষা ছাড়া কি বা থাকতেই পারে।
যেভাবে প্রতিনিয়ত নারী ধর্ষণ, নির্যাতন, হত্যা, স্ত্রী হত্যা, সন্তান হত্যা, শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকান্ড চলছে তা যদি এখনই বন্ধ না করা হয়, লাগামহীনভাবে চলতে থাকে তবে পরিস্থিতি আইয়্যামে জাহেলিয়া আমলের অমানবতা, বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানালেও করার কিছু নাও থাকতে পারে। দ্রুত এই নিষ্ঠুরতাকে বন্ধ করতে আইনের আরও কঠোরতা ও বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতা কমিয়ে অল্প সময়ে এর বিচার প্রয়োজন বলে আইন বিশেষজ্ঞ ভূক্তভোগী ও দেশের মানুষ মনে করে থাকে। যদি এর কালক্ষেপন করা হয় সুনামি, জলোচ্ছাস, গোর্কির তান্ডব ও দাবানলের মতো ব্যাপ্তি ঘটলে চোখের অশ্রু ফালানো ছাড়া আর কোনো উপায়ন্তর দৃশ্যমান না হওয়ার কথা। তদোপরি এসব নিষ্ঠুর ঘটনায় সমাজের প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর রাজনীতির সম্পৃক্ততাকে ওড়িয়ে দেয়া যায় না। গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে দৃশ্যমান হয় করোনা কোভিড- ১৯ ও ভ্যারিয়েন্ট যেভাবে ভয়াবহ রূপ নিয়ে সামনে এগুচ্ছে এমনিভাবে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, স্ত্রী সন্তান হত্যা, শিশু ধর্ষণ, হত্যা অপ্রতিরোধ্য গতিতে সামনে এগিয়ে চলছে। যা সামুদ্রিক জলোচ্ছাসের ন্যায় ১০ নং মহাবিপদ সংকেতরই নমুনা। এখনই এ ব্যাপারে জরুরীভাবে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে দেশের জনগণ মনে করে থাকে। তাছাড়া অনেকেই মনে করে আর কতকাল চলবে এই মহাযজ্ঞ, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, স্ত্রী হত্যা, শিশু ধর্ষণ ও সন্তান হত্যার হরিকীর্তন।
পরিশেষে জনমতকে প্রাধান্য দিয়ে বলব, বড় বড় কথা বলার আগে ধর্ষণ, স্ত্রী সন্তান হত্যা, শিশু ধর্ষণ, হত্যা, পিতামাতা, ভাইবোন হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় এনে দ্রুত সময়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দরকার। দেশের মানুষ চায় আইনের শাসন, দুষ্টের দমন, শিষ্ঠের পালন, শান্তি, স্বস্থি, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও সমুন্নত মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ