কুয়াকাটা প্রতিনিধি।।পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় পরকীয়া সম্পর্কের টানাপোড়নে প্রেমিকের বিরুদ্ধে, বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে মহিপুর থানায় মামলা করেছেন এক ভূক্তভোগী তরুনী।
জানা যায়, গত ১২ ই ডিসেম্বর শনিবার রাতে
প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষন ও ধর্ষনে সহযোগীতা করার জন্য দু’জনকে আসামি করে মহিপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন।সূত্রমতে জানাযায়, কলাপাড়া পৌর শহরের রহমতপুর এলাকার সদ্য ৪ মাস পূর্বে তালাক প্রাপ্ত এক তরুনী (২০) ও মহিপুর থানা শহরের ব্যবসায়ী মোঃ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আল-আমীন (২৩) বিগত সাত মাস ধরে পরিকীয়া প্রেমের সম্পর্কে আসক্তো ছিলো। জানা যায়, বর্তমান বহুলালোচিত সোশ্যাল মিডিয়ার বিকৃত রুপ টিকটক মিডিয়ায় অভিনয় করতে এসে পরিচয় হয় এবং দুজনেই বিবাহিত জেনে একে অন্যের উপর পরকীয়া সম্পর্কে আসক্তো হয়।
গত ১২ ই ডিসেম্বর শনিবার বিকেল আনুমানিক ৪ টা ৩০ মিনিটের দিকে এই টিকটক যুগল কুয়াকাটা সোনার বাংলা হোটেলের ১০৪ নং কক্ষে স্বামীস্ত্রী পর্যটক দম্পতির পরিচয়ে অবস্থান করার সময় তরুনীর পরিবারের সদস্যদের কাছে আটক হয় এবং প্রায় ৫ ঘন্টা পর আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে মহিপুর থানায় প্রমিক আলামিন (২৩) ও হোটেল ম্যানেজার শামীমকে (২৪) কে আসামি করে এটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগী তরুনী এবং তার পরিবার।
এই মামলার দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত এসআই বেল্লাল সিকদার বলেন, বিয়ের প্রলভন দিয়ে কুয়াকাটা ডেকে এনে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এই তরুনী। মামলায় বিবরণীতে ওই তরুনী আরও উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘ সাত মাস ধরে বিয়ের প্রলোভনে অভিযুক্ত শামীমের সহযোগীতায় লাগাতার ধর্ষণ করে আসছে মামলার প্রধান আসাসী আল- আমিন। এ ঘটনায় ধর্ষণে সহযোগীতায় অভিযুক্ত আসামী শামিমকে গ্রেফতার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। মামলার প্রধান আসামী প্রেমিক আল-আমিন ঘটনা স্থান থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারনে পুলিশ এথনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে, সোনার বাংলা হোটেলের মালিক দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেন, শনিবার বিকেল ৩টায় অভিযুক্ত আল আমিন ও এক তরুনী পর্যটক পরিচয়ে হোটেলে রুম নেয়ার জন্য আসার কিছুক্ষণ পরই আত্মীয় পরিচয়ে দুই জন নারী ও দুই জন পুরুষ এই পর্যটকদের রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু এই ব্যাপারে হোটেল ম্যানেজার সম্পূর্ন নির্দোষ। এবং এদিকে,অভিযুক্ত আলামিনের পিতা, মোঃ গিয়াস উদ্দিন সকল ঘটনা একটা পূর্ব পরিকল্পনা ও এদের টাকা আদায়কারী নারী চক্রের ষড়যন্ত্র দাবী করেন বলেন , গত ১২ ই ডিসেম্বর শনিবার শেষ বিকেলে তিন জন নারী ও দুই জন পুরুষ তার দোকানে এসে তাকে এসব কথা জানায়, কিন্তু তিনি তার ছেলের কথা জানতে চাইলে, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছে বলে তারা জানায়। এক পর্যায় এই চক্র তার কাছে তিন লক্ষ্য টাকা ক্ষতিপুরন দাবী করেন এবং না দিলে ধর্ষন মামলা করার হুমকি দেয়। একাধিক স্বাক্ষি উপস্থিতে তাকে এই হুমকি দেয় বলে জানায়। অবশেষে তিনি তার ছেলের খোজ না পাওয়ার আগে টাকা দিতে অস্বীকার করার ফলে, তারা থানায় গিয়ে মামলা করে।মহিপুর থানার দ্বায়িত্ব প্রপ্ত কর্মকর্তা (ও,সি) মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, সোনার বাংলা আবাসিক হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবতী নারী মামলা করেছেন। শামিম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার মূল আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন এবং ভূক্তভোগী তরুনীকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।