• সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই থেমে গেল লামিয়ার জীবন’- মায়ের আহাজারি/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। বাউফলে রাস্তা ও এপ্রোচ সড়ক নিজস্ব অর্থায়নে মেরামতের উদ্বোধন করলেন বিএনপি নেতা আবদুল হালিম/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ফিলিস্তিনে মুসলামদের গণহত্যা প্রতিবাদে বোরহানউদ্দিনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যান ফ্রন্ট উদ্যাগে মানববন্ধন/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। ভান্ডারিয়ার বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মাসুমের খুটির জোর কোথায়/দৈনিক ক্রাইম বাংলা।। পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা দোহা থেকে সরাসরি রোমে যাবেন,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা ২৭২২ ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দিলেন ফ্লোরেন্স পিউ!,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা: সন্দেহভাজনদের স্কেচ প্রকাশ, আতঙ্কে কাশ্মীর,,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা আরাকান আর্মির ভিডিও যে হারে এসেছে সেটি সঠিক নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা কুয়েটে ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, খুলল ৭টি হল,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা মার্কিন সহায়তা হ্রাসে জটিল হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট: প্রধান উপদেষ্টা,,,,,দৈনিক ক্রাইম বাংলা


বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পের উদ্যোগ

রিপোর্টার: / ২৫৭ পঠিত
আপডেট: শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১


বজ্রপাতের অন্যতম হটস্পট বাংলাদেশ। বড় বড় গাছ কেটে ফেলায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। মূলত এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। গত সাড়ে ৯ বছরে বজ্রপাতে দেশে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর এ বছরের সাড়ে ৫ মাসে বজ্রপাতে শতাধিক মানুষ মারা গেছে। বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে কৃষক। খোলা মাঠে কিংবা ফসলি জমিতে কাজ করতে গিয়েই তাদের মৃত্যু হচ্ছে। এর সমাধানে জমির আইলে ৩৫ লাখ তালগাছ রোপণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। পাশাপাশি সারাদেশে ৩শ’র বেশি পূর্বাভাস কেন্দ্র নির্মাণ করার কথাও ভাবছে সরকার। পাশাপাশি বজ্রপাতের পূর্বাভাস পেতে বিশেষজ্ঞরা এ্যারেস্টার বসানোরও পরামর্শ দিয়েছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বজ্রপাতে মানুষের প্রাণহানি ঠেকাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প নিতে যাচ্ছে সরকার। ওসব প্রকল্পে থাকছে বজ্রপাত শোষণে এ্যারেস্টার স্থাপন, বজ্রপাতের আগাম সতর্কবার্তা পেতে বিশেষ প্রযুক্তি স্থাপন এবং কৃষকের জন্য আশ্রয় ছাউনি নির্মাণ। ইতিমধ্যে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির আইলে তালগাছ রোপণের কাজ চলছে। পাশাপাশি বজ্রপাত পূর্বাভাস ও আশ্রয় ছাউনি নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। যাতে বৃষ্টির সময় কৃষকরা ওসব ছাউনিতে আশ্রয় নিতে পারে। আশা করা হচ্ছে এ ধরনের নতুন পরিকল্পনা বজ্রপাতে প্রাণহানি কমিয়ে আনবে।
সূত্র জানায়, বজ্রপাতে প্রতিবছর দেশে গড়ে দু’শতাধিক মানুষ মারা যায়। তার মধ্যে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ৩৫৯ জন মারা গেছে। তার আগের বছর ২০১৭ সালে মারা যায় ৩০১ জন। আর গত বছর মারা গেছে ২১১ জন। বিগত ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বজ্রপাতে দেশে ২ হাজার ২৭৬ জন মারা গেছে। ২০১১ সালে মারা গেছে ১৭৯ জন, ২০১২ সালে ২০১ জন, ২০১৩ সালে ১৮৫ জন, ২০১৪ সালে ১৭০ জন, ২০১৫ সালে ১৬০ জন, ২০১৬ সালে ২০৫ জন, ২০১৭ সালে ৩০১ জন, ২০১৮ সালে ৩৫৯ জন, ২০১৯ সালে ১৯৮ জন, ২০২০ সালে ২১১ জন এবং ২০২১ সালের জুনের এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১০৭ জন। যদিও বেসরকারি হিসাবে চলতি বছরের এই সাড়ে ৫ মাসে মারা গেছে ২৩০ জন। মূলত দেগশে প্রতিবছর যে হারে গাছ কাটা হয় সে অনুপাতে গাছ রোপণ করা হয় না। আগে গ্রামের মাঠে-ঘাটে তালগাছ দেখ যেতো। তালগাছ বজ্রপাত ঠেকানোর অন্যতম উপায়। কিন্তু বর্তমানে তালগাছের সংখ্যা খুবই কমে এসেছে। আর বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে কৃষক। তাদের সুরক্ষার কোন পরিকল্পনা নেই। বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে মাঠে-ঘাটে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি বাড়িতে আর্থিং ব্যবস্থা সেট করতে হবে।
সূত্র আরো জানায়, বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে হাওড় অঞ্চলের মাঠে কৃষকদের জন্য আশ্রয় ছাউনি স্থাপন করা হবে। প্রাথমিকভাবে তা দুটি উপজেলায় পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে দেখা হবে। সফলতা এলে ছাউনি নির্মাণ সামনে এগিয়ে নেয়া হবে। হাওড় অঞ্চলের পাশাপাশি যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ বজ্রপাতে মারা গেছে সেসব এলাকায়ও ব্যবস্থা নেয়ার কথা চিন্তা করা হচ্ছে। আর সেভাবেই প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, বজ্রপাত কিংবা বজ্রঝড়ের স্থায়িত্ব সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট। সেজন্যই কৃষি মাঠে ছাউনি নির্মাণ করে মানুষের প্রাণহানি কমানো সম্ভব। ছাউনিগুলো হবে কংক্রিটের তৈরি। ঝড় শুরু হলে কৃষকরা পশু নিয়ে ওই ছাউনিতে আশ্রয় নিতে পারবে। আবার ঝড় থেমে গেলে মাঠে ফিরে তারা মাঠে ফিরে যেতে পারবে। ছাউনি নির্মাণের পাশাপাশি বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করারও চিন্তা করা হচ্ছে। সেজন্য দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় এ্যারেস্টার বসানো হবে। ওই যন্ত্র বজ্রপাত শোষণ করে নেবে। স্পেনের ওই প্রযুক্তি বজ্রপাতের ৩০ মিনিট আগেই পূর্বাভাস দিতে পারে। সেটি স্থাপন করা গেলে বজ্রপাতে মৃত্যু হার কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশই ওই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তাতে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মতো খরচ হবে। ব্যয়বহুল হলেও ভবিষ্যতে সেটি স্থাপন করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা হচ্ছে। তবে শুধু হাওড়ের জন্য আপাতত একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। আলাদা করে এ্যারেস্টারের জন্য আরেকটি প্রকল্প প্রণয়নের কাজ চলছে। আর ছাউনির জন্য আরেকটা প্রকল্পের চিন্তা করা হচ্ছে। যদিও তালগাছ রোপণের প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে আপাতত মানুষকে কিভাবে সতর্ক করা যায় সে নিয়ে কাজ করছে সরকার। সেক্ষেত্রে সরকার ঘূর্ণিঝড়ের মতো মাইকিং করে, মোবাইলে বার্তা দিয়ে আপাতত সচেতনতা বাড়াতে চায়।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোহসীন জানান, বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে হাওড় অঞ্চলের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একটি পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ